স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে পড়ে এক ছাত্রসহ ২ বাসযাত্রী নিহত ও অন্ততঃ ১৫ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর শরীফপাড়া নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ছাত্র নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে এবং ঘাতক বাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা বাস মালিক সমিতি জেলার সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়ায় অবস্থিত গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ছাত্র কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া গ্রামের আশিক(২২) ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের রুকু মোল্লাকে(৬৫)গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যান।
এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া থেকে গোপিনাথপুর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা ছাত্ররা অবরোধ করে রাখে ছাত্ররা। রাস্তার দুইপাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বিভিন্ন যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালালে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৪ ঘন্টা পর পুলিশ মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে দেয় এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ব্যাসপুর থেকে গোপালগঞ্জগামী একটি লোকাল বাস ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর উপড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ছাত্র আশিক নিহত হন এবং অপর অন্ততঃ ১৬ বাসযাত্রী আহত হয়। পরে হাসপাতাপলে নেয়ার পথে আরো রুকু মোল্লা (৬৫) একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনে।
গোপালগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার জন্য আদৌ ড্রাইভার দায়ী কিনা তা বিচার বিবেচনা না করেই বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় সমিতির পক্ষ থেকে জেলার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিকেল ৪টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা পুলিশ লাইন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে এবং পরবর্তী আন্দোলনের ঘোষণা করবে বলে ওই সভাপতি জানান।
Leave a reply