পোশাক রপ্তানি: ২০২০ সালে চীনকে টপকাবে বাংলাদেশ!

|

২০২০ সালের দিকে বাংলাদেশ চীনকে টপকিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠতে পারে বলে জোরালো সম্ভাবনা দেখছে এই খাতের নামকরা প্রতিষ্ঠান টেক্সটাইল ইন্টিলিজেন্স।

টেক্সটাইল ইন্টিলিজেন্সের সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগের ৯ বছরের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ২০১৬ সালেও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে। এই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুন বেড়ে ১২ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশ হয়েছে।

অন্যদিকে ২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে রপ্তানিতে চীনের অবস্থান আরও অবনমিত হয়েছে; এবং শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে এই অবনমন অব্যাহত থাকতে পারে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।

২০১০ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্ধেকের বেশি পোশাক চীন থেকে যেত। কিন্তু গত ছয় বছরে ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৬ তে চীন থেকে আমদানির হার দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে।

পণ্যের মূল্য কমিয়েও চীনা রপ্তানিকারকরা ইউরোপের মার্কেট ধরে রাখতে পারছে না।

একদিকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাড়ছে, অন্যদিকে চীনের কমছে। এমন অবস্থায় আগামী তিন বছরের মধ্যেই চীনকে টপকিয়ে বাংলাদেশ ইউরোপের মার্কেটে এক নম্বর সরবরাহকারী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছে টেক্সটাইল ইন্টিলিজেন্স।

অবশ্য চীনের অবনমনে শুধু বাংলাদেশের নয়, ইউরোপে চাহিদা বাড়ছে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এবং মিয়ানমারের কাপড়েরও। কয়েক বছর আগে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞামুক্ত হওয়া মিয়ানমারেও পোশাক খাত বেশ সম্ভাবনাময়, এবং দ্রতু বর্ধনশীল।

তবে রিপোর্টে এ কথাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিজেদের এই দ্রুত বর্ধনশীলতাকে সামনের বছরগুলোতে কতটুকু ধরে রাখতে পারবে তা স্পষ্ট নয়। যদি ধরে রাখতে না পারে এবং চীন তার অব্যাহত অবনমন থামাতে পারে তাহলে মার্কেট পরিস্থিতি খুব একটা হেরফের হবে না।

টেক্সটাইল ইন্টিলিজেন্স মনে করে, অগ্রগতি ধরে রাখতে বাংলাদেশের প্রয়োজন উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ দূর করা এবং কারখানার পরিবেশ উন্নত করাসহ শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি মনোযোগ দেয়া।

/কিউএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply