ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লড়াকু মোরগ আসিলের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উদ্যোগ

|

মোরগ লড়াইয়ে দেশজুড়ে বেশ নামডাক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের আসিল মোরগের। মোগল শাসনামল থেকে এই জাতের মোরগ লালন-পালন হচ্ছে সরাইলে। লড়াইয়ে পারদর্শী একেকটি আসিল মোরগ ৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। এর জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। মূল জাত হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জনের প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

মোরগ লড়াইয়ের ইতিহাসটা কিন্তু বেশ পুরানো। প্রায় ৬ হাজার বছর আগে প্রাচীন পারস্যে এর উৎপত্তি। কালের পরিক্রমায় গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে জনপ্রিয় এই খেলা। বাংলাদেশেরও নানা প্রান্তে জনপ্রিয় লোকজ খেলা এই মোরগ লড়াই। আর তাতে বেশ নামডাক আসিল মোরগের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালন করা হয়আসিল মোরগ। সরাইল থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে এই জাতের মোরগ সরবরাহ হয়।

একটি আসিল মোরগের উচ্চতা ২৮ থেকে ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বয়স, আকার ও লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এর দাম নির্ধারণ হয়। একেকটি মোরগ ৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।

জনশ্রুতি রয়েছে ষোড়শ শতাব্দিতে সরাইল পরগনার জমিদার দেওয়ান মনোয়ার আলী, পারস্য থেকে আসিল মোরগ আনেন। পরে তার সাথে দেশীয় বিভিন্ন জাতের সংমিশ্রণ হয়। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল জানান, আসিল মোরগের জিনোম সিকোয়েন্স করে, একে মূল জাত হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জনের প্রক্রিয়া চলছে।

দেড় বছর বয়স থেকে লড়াই শুরুর পর ৪ বছর বয়স পর্যন্ত লড়াইয়ের সক্ষমতা থাকে আসিল মোরগের।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply