কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির পৃথক অভিযানে ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা মূল্যের ২ লাখ ৫৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মিয়ানমারের নাগরিকসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। গত ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি নাফ নদী থেকে পৃথক অভিযানে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার ২৭ জানুয়ারি রাত ৯টায় ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কাঠ বোঝাই করে আসা একটি ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের সময় মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) এর ৩টি স্পিডবোট দিয়ে নাফ নদীতে ধাওয়া করলে ট্রলারটি সাবরাং এলাকায় নাফনদীর জিন্নাহখাল নামক স্থানে বালুচরের উপরে উঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ট্রলারে অবস্থানরত ৪ ব্যবসায়ী পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি টহলদল তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের জবানবন্দি সন্দেহজনক হওয়ায় ট্রলারটিকে টেকনাফ জেটিঘাটে এনে তল্লাশিকালে ট্রলারের ইঞ্জিনের নীচ হতে অভিনব পদ্ধতিতে লুকানো অবস্থায় একটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ বস্তার ভেতর থেকে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যমানের ৭৮ হাজার ইয়াবা ও ২ বিদেশি নাগরিকসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মিয়ানমারের দব্রিচাই এলাকার নেম ইউ চ (৩৬), মন্দ্রাছের ছেওয়াচি (৩৮), টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শীর্ষ মানবপাচারকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. রবিউল ইসলামের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪২) ও সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের মৃত কালু মিয়ার ছেলে মো. হাফেজ আহমেদ (৪০)।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ দিয়ে ষড়যন্ত্রে নেমেছে: তথ্যমন্ত্রী
এছাড়া ২৬ জানুয়ারি খারাংখালী এলাকায় আনুমানিক রাত ১২টা ১৫ মিনিটে সন্দেহভাজন ৫/৬ জন মাদক কারবারিকে একটি কাঠের নৌকায় মিয়ানমারের মুদদ্বীপ থেকে নাফনদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। নৌকাটি শূন্যরেখা অতিক্রম করে নাফ নদীর তীরে আসলে ২/৩ জন লোক বেড়িবাঁধ দিয়ে নৌকাটির কাছে যায়। তারা নৌকাটির কাছে গেলে নৌকা হতে মাদকের চালান তাদেরকে হস্তান্তর করার সময় বিজিবির টহলদল তৎক্ষণাৎ তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবির চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে মাদক কারবারিরা বিজিবির টহলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে বিজিবির টহলও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে অজ্ঞাতনামা মাদক কারবারিরা নৌকা হতে লাফিয়ে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে নদীর তীরে ২টি বস্তা উদ্ধারে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যমানের ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয়। অবৈধ মাদক বহন এবং পাচারের দায়ে অজ্ঞাত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন।
ইউএইচ/
Leave a reply