সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যু রহস্যজনক, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি

|

প্রয়াত সাংবাদিক হাবীবুর রহমান।

সাংবাদিক হাবীবুর রহমানের মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তার সহপাঠী, শিক্ষক, পেশাগত ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সময়ের আলো পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক প্রয়াত হাবীবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা এ দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের হাবীবের সহপাঠীরা এই স্মরণসভার আয়োজন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের শিক্ষক, সহপাঠী, অগ্রজ, অনুজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত হাবীবের সহকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এই স্মরণসভায় অংশ নিয়ে হাবীবের স্মৃতিকথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, হাবীব ছিলেন একজন পেশাদার ও প্রতিশ্রুতিশীল গণমাধ্যমকর্মী। পেশাগত জীবনে তার দায়িত্বশীলতা ও কর্মের প্রতি প্রবল আগ্রহ খুব অল্প বয়সেই তাকে ভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত করে তুলেছিল।

গত ১৯ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি এলাকায় ফুটপাতের পাশে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় পড়েছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হাবীবুর রহমান (৩৪)। ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তি (পথচারী) হাবীবুর রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন থাকার কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়।

হাবীবুর রহমানের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করেন হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ খলিফা। সুরতহাল রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, মৃতের মুখ থেতলানো, চোয়াল বিচ্ছিন্ন, গালে এক ইঞ্চি কেটে ঝুলে গেছে। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা হাবীবুর রহমানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনা নাকি হত্যার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক হাবীবুর রহমান, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। এছাড়া, হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি এলাকায় ঘটনার কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, সেই এলাকার ক্যামেরাগুলো নষ্ট ছিল। ফলে ওই সময় কী ঘটেছিল তা এখনও জানা যায়নি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply