ব্রায়ান চোরলে, বয়স ৮৩। সারা জীবন একই কোম্পানিতে চাকরি করে যাচ্ছেন। ৬৮ বছরের কর্মজীবনে একদিনের জন্যও অসুস্থতাজনিত ছুটি (সিক লিভ) নেননি চোরলে। খবর দ্য ওয়াল এর।
১৯৫৩ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের সমারসেটে সি অ্যান্ড জে ক্লার্ক শ্যু ফ্যাক্টরিতে কাজে ঢোকেন ব্রায়ান চোরলে। বুড়ো বয়সেও কাজ করে যেতে চান, অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
স্কুলে তখন ছুটির মৌসুম চলছিল। পরিবারের জন্য কিছু বাড়তি উপার্জনের আশায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন চোরলে। গরিব পরিবার। বাবাও বলছিলেন কাজ খুঁজতে। এক সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা কাজ করে দুই পাউন্ড, তিন শিলিং পান। জীবনের প্রথম বেতন। সেখান থেকে ১ পাউন্ড তুলে দেন মায়ের হাতে।
আশির দশক পর্যন্ত কেরানির কাজ করে যান তিনি। এরমধ্যে মূল কোম্পানি বন্ধও হয়ে যায়। কিন্তু এরপরই নতুন চেহারায় প্রিমিয়াম ক্লার্কস ভিলেজ শপিং আউটলেট নামে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৩ সালে ওই কোম্পানি চালু হলে সেখানে কাজ শুরু করেন চোরলে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উতরেও গিয়েছেন চোরলে। যতদিন পারবে ততদিন কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্রায়ান চোরলের কথায় ফুটে উঠেছে, কাজ ছাড়া কেন তিনি বাঁচতে পারবেন না। বরেন, ‘আট বছর আগে আমার স্ত্রী মারা গেছে। বাড়িতে কেউ নেই। তাই বাড়ির বাইরেই থাকতে ভালো লাগে। লোকজনের মুখ দেখতে ভালো লাগে। কাজ করতে ভালোবাসি। সারাদিন চেয়ারে অলস হয়ে বসে কাটাতে চাই না। বিরক্তিকর। আমার কাজ চাই, কাজ। নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়েও মানুষকে সাহায্য করি। সবাইকে সম্মান করি। কতবার যে লোকে আমায় বলেছে, আমার সার্ভিসে তারা খুশি। তখন যে কী ভালো লাগে। এই ভালোলাগা টুকুই তো পাওনা।’
/এমএন
Leave a reply