চুয়াডাঙ্গায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নির্বাচন অফিসে আগুন

|

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা ও আনারস প্রতীকের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে কয়েকজন। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার রেশ ধরে অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছে নির্বাচন অফিসে। ভাংচুর করা হয়েছে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে।

আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু বলেন, পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজন প্রায় দিনই নৌকার পক্ষ নিয়ে তিতুদহ ইউপির নির্বাচনি এলাকায় এসে আমার কর্মীদের হুমকি ধামকি দেয়। রাতেও ওই বহিরাগত লোকজন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে আমার গিরিশনগর ও তিতুদহ দক্ষিণপাড়ার দুটি নির্বাচনি অফিসে ভাঙচুর চালায়। এসময় আমার কর্মী তছলিম উদ্দীনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ভাঙচুর করা হয় মাহবুব রিপনের মোটরসাইকেল। জখম করা হয় রিপনকেও। এছাড়া ওই হামলায় আহত হয় মিঠু ও আব্দুল লতিফ।

এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলী বলছেন, আমরা নির্বাচনি এলাকায় ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছিলাম। আমাদের বহরের পেছনে এসে আনারস প্রতীকের লোকজন নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এসময় তারা আমাদের মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। তিতুদহ বাজার ও গিরিশনগরের ৩টি নির্বাচনী অফিসে চালায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পুড়িয়ে দেয় নৌকা প্রতীক। কর্মীদের উপর চালায় হামলা। যে হামলায় আমার পক্ষের হাসান, মানিক, ওমর ফারুক, শাহিন ও রায়হান গুরুতর আহত হয়।

আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আহসানুল হক।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর জানান, দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply