খারাপ আবহাওয়া ও ঋণের ভারে জর্জরিত বরগুনার শুটকি ব্যবসায়ীরা

|

চলতি মাসে বেশ কয়েকবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় ও সারাদিন মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঘন কুয়াশার কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে বরগুনার শুটকি ব্যবসায়ীরা। সরকারি সহায়তা, ব্যাংক থেকে স্বল্পসুদে ঋণ না পাওয়ায় এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণের ঘানি টানতে হচ্ছে এখানকার শুটকি ব্যবসায়ীদের। মোকামে শুটকির চাহিদা কমে যাওয়ায় সঠিক দাম পাচ্ছেন না তারা।

বরগুনা জেলা সদর, তালতলী ও পাথরঘাটা উপজেলা ৮ থেকে ১০টি শুটকি পল্লী রয়েছে। যে পল্লীগুলোতে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ কাজ করছে। চলতি মাসে বেশ কয়েকবার আবহাওয়া খারাপ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়াতে শুটকি ব্যবসায় শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয়েছে শুটকি প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ীদের। সূর্যের মুখ না দেখা ও ঘন কুয়াশায় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক শুটকি প্রক্রিয়াজাত করতে পারেননি তারা। বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুর নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও শুরুতেই এমন ধাক্কায় দিশেহারা করে ফেলেছেন ব্যবসায়ীদের।

প্রতি বছর শুটকি ব্যবসায়ীদের লাভ হলেও এবারের শুরুটা হয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে। গত কয়েক মাসে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে মূলধন সংকটের মুখে পড়েছেন এখানকার শুটকি ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: ফতুল্লায় ছুরিকাঘাতে গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত

ব্যবসায়ীদের ধারণা, ইতোমধ্যে করোনার প্রভাব পড়তে শুরু করছে। মোকামে নেই শুটকির চাহিদা, সঠিক দাম পাচ্ছেন না তারা। একদিকে চড়া সুদের এনজিওর লোন পরিশোধের দুশ্চিন্তা, অন্যদিকে মহাজনের দাদনের ফাঁদে দিশেহারা শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। এভাবে চলতে থাকলে বেশিরভাগকেই ব্যবসা ছেড়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা। নানামুখী সংকট উত্তরণের জন্য শুটকি ব্যবসায়ীদের দাবি সরকারি সহযোগিতা স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply