পূর্ব ইউরোপে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিলেন বাইডেন

|

ছবি: সংগৃহীত

শিগগিরই পূর্ব ইউরোপে সীমিত সংখ্যক সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পেন্টাগন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিণতি হবে ভয়াবহ। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, যুদ্ধ চায় না রাশিয়া। তবে মস্কোর নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ন্যাটো। সমরাস্ত্র ও বিমানের পর এবার বেলারুশে বিপুল সংখ্যক সেনা পাঠাচ্ছে মস্কো। এ পরিস্থিতিতে সতর্কাবস্থায় রয়েছে ন্যাটো।

গত সপ্তাহে ব্রিটেন ২ হাজার স্বল্পপাল্লার মিসাইল পাঠিয়েছিল ইউক্রেনে। ব্রিটিশ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে চলছে প্রশিক্ষণ। অন্যদিকে, ইউক্রেনে আরেক দফা চালানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো বহরে আরও মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ঘোষণা চলমান উত্তেজনায় যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা। এখনও কূটনীতির মাধ্যমে সংঘাত এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তবে সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক প্রস্তুতি ইঙ্গিত দেয়, আক্রান্ত হতে পারে ইউক্রেন, এমন দাবি পেন্টাগনের।

পেন্টাগনের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলে বলেন, কূটনীতির মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে। রাশিয়ার কর্মকাণ্ড দেখলে অবশ্য অন্য কিছুই মনে হচ্ছে। তাদের পদক্ষেপ স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। নিকট অতীতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

রাশিয়া অবশ্য এখনও বলছে, যুদ্ধ চায় না তারা। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে নেয়ার কথাও বলছে মস্কো। তবে আপত্তি জানিয়েছে ন্যাটোর কর্মকাণ্ড নিয়ে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়ার হাতেই যদি সবকিছু নির্ভর করে, তাহলে নিশ্চিত করতে পারি যুদ্ধ হবে না। তবে আমাদের স্বার্থে আঘাত বা উপেক্ষাও মেনে নেয়া হবে না। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তার উপর নির্ভর করবে সিদ্ধান্ত।

যে দেশকে ঘিরে যুদ্ধের দামামা, সেই ইউক্রেন বলছে, এখনও তৈরি হয়নি যুদ্ধ পরিস্থিতি। ন্যাটো-মস্কো উত্তেজনার জেরে পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভ থেকে কূটনীতিক সরিয়ে নেয়াকে আবারও ভুল সিদ্ধান্ত বললেন তিনি। বরং অহেতুক উত্তেজনা ছড়ানোয় অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হচ্ছে বলেও বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদিমের জেলনস্কি বলেন, ইউক্রেনে কি রাস্তায় রাস্তায় ট্যাংক ঘুরে বেড়াচ্ছে? না। তবে প্রচারণা দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে। হোয়াইট হাউজ বড় আকারের যুদ্ধের যে ঝুঁকির কথা বলে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়েছে তা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না।

এদিকে, পূর্ব ইউরোপে সেনা সদস্য বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো। রাশিয়া সংঘাতের পথ বেছে নিলে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সামরিক জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।

আরও পড়ুন: সমঝোতার পথে না হাঁটলে, চরম মূল্য দিতে হবে মস্কোকে: যুক্তরাষ্ট্র


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply