যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে ওই ব্যক্তি ইনজেকশনের পরিবর্তে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আবেদন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় বলে জানায় কর্মকর্তারা।
এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৬ বছর বয়সী ডোনাল্ড অ্যান্টনি গ্রান্টের মৃত্যুদণ্ড ওকলাহোমা রাজ্যের একটি কারাগারে কার্যকর হয়। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুদণ্ডের প্রক্রিয়া শুরু হয় ১০টা তিন মিনিটে। ইনজেকশন প্রয়োগের পর সে অচেতন হয় ১০টা আট মিনিটে। কারাগারের পরিচালক স্কট ক্রোড এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: স্বামীর লাশ নিয়ে দুই স্ত্রীর মধ্যে টানাটানি!
জানা গেছে, কারাবন্দী প্রেমিকার জামিনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ডাকাতির আশ্রয় নিয়েছিলেন গ্রান্ট। তখন তার বয়স ছিল ২৫ বছর। ২০০১ সালের জুলাইয়ে ডেল সিটির লা কুইন্টা ইনে ডাকাতি করতে গিয়ে ব্রেন্ডা ম্যাকইলিয়া ২৯, ও ফেলিসিয়া সুজেট স্মিথ ৪৩ কে হত্যা করেন গ্রান্ট।
দু’টি হত্যাকাণ্ড সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ২০০৫ সালে গ্রান্টকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে অসংখ্য আপিল করেছিলেন তিনি, তবে সব আপিলই খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিশেষ প্রক্রিয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন: পাবজি’র প্রভাবে পুরো পরিবারকে গুলি করে হত্যা করল কিশোর
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে গ্রান্ট জানান, এটা কিছুই না। আমি শক্ত ছেলে। কোনো ওষুধ নেই, কিছুই নেই। আমি শক্ত। মাইক্রোফোন সরিয়ে নেওয়ার পরও গ্রান্ট তার পরিবারের সদস্যদের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে থাকেন।
তিনি বলেন, আমি মহাবিশ্বের দিকে যাচ্ছি। আমি আবার ফিরে আসবো। ঈশ্বর এখানে আছেন। প্রকৃত ঈশ্বর। এরপর তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে।
/এনএএস
Leave a reply