বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সকে ১৬ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চলতি আসরে প্রথমবারের মতো দুই শতাধিক রানের সংগ্রহ গড়েছে চট্টগ্রাম।
ব্যাট করতে নেমে কেনার লুইসকে হারিয়ে শুরুটা ভাল হয়নি চট্টগ্রামের। আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস মাত্র ১৯ বলে খেলেন ৫২ রানের টর্নেডো এক ইনিংস। এরপর আফিফ হোসেন ৩৮ ও সাব্বির রহমান খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। শেষদিকে বেনি হাওয়েলের ২১ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দু’শ পার হয় চট্টগ্রাম।
জবাবে শুরুতে লেন্ডল সিমন্সের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট। তবে আরেক ওপেনার এনামুল বিজয়ের ৭৮ রানের ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। এরপর কলিন ইনগ্রাম অর্ধশতক করেই ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজের বলে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলে ১৮৬ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। হ্যাটট্রিক করেন বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
বিপিএল ড্রাফটের আগেই নাসুম আহমেদকে কেনো নিশ্চিত করে রেখেছিল চট্টগ্রাম তার প্রমাণ আরেকবার দিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। মিরপুরের পর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদের ব্যাটিং উইকেটে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে নাসুমকে ছাপিয়ে গেছেন ম্যাচের আরেক কাণ্ডারি মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এই বাঁহাতি পেসারে ১৮-তম ওভারে করলেন এবারের বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক। আর তাতেই তখন পর্যন্ত ম্যাচে থাকা সিলেটকে ১৮৬ রানে আটকে দিয়ে ১৬ রানের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
অথচ ১৭ ওভার শেষে ৪৯ রান দূরে থাকা সিলেটের টপ স্কোরার এনামুল বোলিংয়ে আসা মৃত্যুঞ্জয়ের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন, পরের বলেই কাভার দিয়ে চার হাঁকান। এরপর ফিল্ডার নিয়ে একটু নাড়াচড়া করার ব্যর্থ চেষ্টা করলেন বোলার। কোন পাশ থেকে বল করবেন সেটি নিয়েও যেন বিভ্রান্তিতে পড়লেন। তখনি সদ্য অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া নাঈম ইসলাম তাকে কী যেন পরামর্শ দিলেন। এরপরই তো হ্যাটট্রিক।
Leave a reply