দিনভর থানায় বসিয়ে রেখে রাতে জানানো হলো মামলা রেকর্ডভুক্ত হবে না। অথচ পুলিশের কথা মতো এজাহার সংশোধন করেই খানজাহান আলী থানায় গিয়েছিলেন কুয়েট শিক্ষক সেলিম হোসেনের স্বজনরা। মামলা গ্রহণ না করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
একমাত্র সন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করতে দিনভর খানজাহান আলী থানায় অপেক্ষায় ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলী মৃধা। এজাহারে কুয়েট থেকে আজীবন বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ অপর চারজন এবং বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি পাওয়া মোট ৪৪ জনের নাম উল্লেখ ছিল।
পুলিশের কথামতো এজাহার সংশোধন করার পরও অপেক্ষা শেষ হলো না সেলিম হোসেনের পরিবারের। রাতে মামলা রেকর্ড করতে অস্বীকৃতি জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। শিক্ষক সেলিমের বাবা শুকুর আলী মৃধা বলেন, ওসি সাহেব আমাকে খুব হয়রানি করেছে। বলেছে, আমার ছেলে হত্যার বিচার হবে না। ওরা কেস নেবে না। ক্যাডার দেখে ভয় পেয়েছে নাকি ঘুষ খেয়েছে জানি না।
এ বিষয়ে ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাসের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বলতে থাকেন, সাক্ষাৎকার দেবো না, সাক্ষাৎকার দেয়ার সুযোগ নেই।
শিক্ষক সমিতি বলছে, সুনিদিষ্ট অভিযোগে মামলা দায়ের যে কারোরই অধিকার রয়েছে। কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকেরই সুস্পষ্ট কোনো প্রেক্ষাপটে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ আছে।
এদিকে, একমাস অতিবাহিত হলেও শিক্ষক সেলিম হোসেনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পায়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
Leave a reply