পূরণ হয়নি আলু আবাদের লক্ষ্য, বিকল্প ফসল চাষের পরামর্শ কৃষি বিভাগের

|

চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে পূরণ হয়নি আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা। বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ জমিতেই চাষাবাদ হয়েছে দেরিতে। এতে ফলন কম হওয়ার শঙ্কা চাষিদের। বিকল্প ফসল চাষ করার পরামর্শ কৃষি বিভাগেরও। অন্যদিকে বেশকিছু জমিতে আবাদ করা আগাম আলু উঠতে শুরু করেছে বাজারে। তবে কৃষকের দাবি, দাম পড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচও উঠছে না তাদের।

দেশে আলুর চাহিদার একটি বড় অংশের যোগান আসে মুন্সিগঞ্জ থেকে। গত বছর মধ্যাঞ্চলের এই জেলায় আলু উৎপাদন হয় প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে এবার মৌসুমের শুরুতেই হোঁচট খায় আলুর আবাদ। নষ্ট হয় জেলার সাড়ে এগারো হাজার হেক্টর জমির ফলন। অনেকেই দ্বিতীয় দফায় আলুর আবাদ করলেও অনাবাদি ২ হাজার হেক্টরের বেশি জমি। দেরিতে যারা চাষ করেছেন তাদের চিন্তা ফলন নিয়ে।

বেশ কিছু জমিতে আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টির কারণে ফলন কম। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৪ টাকায়। এতে উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না চাষীরা। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিকল্প ফসল আবাদের পরামর্শ দিলেন মুন্সিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক খুরশীদ আলমের।

চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩ মেট্রিক টন। কিন্তু কম জমিতে আবাদ এবং দেরিতে চাষাবাদ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা কৃষি বিভাগের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply