ডলারের মূল্য বাড়াতে চান পোশাক শিল্প মালিকরা

|

রফতানি আয়ে ডলারের আলাদা মূল্য চান পোশাক শিল্প মালিকরা। বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে মুদ্রাটির বিনিময় মূল্য বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তারা। তবে তাতে সায় নেই অর্থনীতিবিদদের। তাদের মতে, ডলারের দাম বাজারের ওপরই ছেড়ে দেয়া উচিত। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মূল্যস্ফীতি সমন্বয়সহ নানা প্রয়োজনেই টাকার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।

আমদানি-রফতানিতে প্রতি ডলার বিনিময় হচ্ছে ৮৬ টাকায়। এক বছর আগেও যা ছিল প্রায় ৮৫ টাকা। পোশাক শিল্প মালিকরা বলছেন, গত ৫ বছরে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে প্রতিযোগী প্রতিটি দেশের মুদ্রার মানের অবমূল্যায়ন হয়েছে এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। টাকার শক্তিশালী অবস্থানের কারণে রফতানিকারকরা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হারাচ্ছে বলেও দাবি তাদের।

এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন পোশাক শিল্পের মালিকরা। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধিতে বাড়বে আমদানি পণ্যের দাম। তাই এ দুয়ের মধ্যে সমন্বয় করার ওপর জোর দিচ্ছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলছেন, রফতানির জন্য ডলারের আলাদা মূল্য নির্ধারণ কোনো সমাধান নয়, এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতও নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কৃত্রিমভাবে ডলার নিয়ন্ত্রণ করছে তাও ঠিক নয়। বরং ডলারের মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ারই পরামর্শ তার।

আর আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারের ডলারের চাহিদা বেড়েছে, সরবরাহ বাড়িয়ে সেটি ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চাহিদা থাকায় টাকারও কিছুটা অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলেও জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। তিনি বললেন, টাকার অবমূল্যায়ন ছাড়াও নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে রফতানিকারকদের সহায়তা করা হচ্ছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply