ভুয়া স্ক্রিনশট প্রদর্শন ও মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে চিত্রনায়িকা নিপুনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মামলা করার সিদ্ধান্তের কথা জানান জায়েদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খান বলেন, আমার সহকর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন যে আমি মুনমুনকে টাকা দিয়েছি ভোট কেনার জন্য। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই যে, এসব অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মুনমুন কি মাত্র দুই হাজার টাকায় ভোট বিক্রি করার মতো মানুষ? আপনারাই বলেন?
জায়েদ এ সময় একটি স্ক্রিনশট দেখিয়ে বলেন, উনি যে অভিযোগ করেছেন তা একদমই সত্য না। ওই স্ক্রিনশটটি নির্বাচনের একদিন আগেই আমার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। সাইবার স্পেশাল টিমের কাছে আমি লিখিতভাবে অভিযোগ ও স্ক্রিনশটটি পৌঁছে দেই। তারা দুই-তিন দিন তদন্ত চালিয়ে রোববার (৩০ জানুয়ারি) আমাকে ডেকে বললেন যে, এই স্ক্রিনশটটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে বলা হয়েছিল যে, এটি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি টিমের ডিসি শরীফুল ইসলামের কাছে আমি অভিযোগ দিয়েছিলাম। তিনিই আমাকে বলেছেন যে, এগারোটি অ্যাপ দিয়ে ওইসব ভুয়া স্ক্রিনশট তৈরি করা হয়েছে। এর পেছনে কারা জড়িত তাদের বের করতেও তিনি সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
জায়েদ খান আরও বলেন, এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই কাজ করা হয়েছে। এজন্য, গত ২০ জানুয়ারি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছিলাম। সেখানে সাদিয়া মির্জা, ফিরোজ শাহী, এবং বেবি নামের তিনজন লোকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরা শিমু হত্যার সময় থেকেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তৎপর ছিল।
জায়েদ খান বলেন, আমাদের একজন সহকর্মীর মৃত্যুর পর থেকেই নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি চক্র বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে নানা রকমের অপপ্রচার চালিয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply