বিপিএলের অষ্টম আসরের ১৪তম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের দেয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা। হার দেখতে হয় ৬ রানের। ফলে ভেস্তে যায় ইয়াসির আলীর খেলা ৩৪ বলে ৫৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
১৪৬ রানের জবাব দিতে নেমে অত্যন্ত ধীরগতিতে রান তুলতে থাকেন খুলনার দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও আন্দ্রে ফ্লেচার। ৬.৩ ওভারের মাথায় মাত্র ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ২২ বলে ১৩ রান করেন তিনি। এরপর ৩১ রানের মাথায় রনি তালুকদার ও আন্দ্রে ফ্লেচারের এবং ৩৫ রানের মাথায় লঙ্কান তারকা থিসারা পেরেরার উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পরে দলটি। এরপরই পাল্টা আক্রমণ গড়ে তোলেন ইয়াসির আলী ও মুশফিকুর রহিম। ৫০ বলে দুইজনে মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। ১১৪ রানের মাথায় ২২ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। শেষদিকে চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে ম্যাচ ইয়াসির ম্যাচ জমিয়ে তুললেও তা ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
খুলনার ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর মূল কাজটি করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন তিনি। আর ক্যারিবীয় তারকা ডোয়াইন ব্রাভো ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। কোনো উইকেট না পেলেও অসাধারণ বোলিং করেছেন আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার মুজিব উর রহমান। ৪ ওভারে ১টি মেডেন ওভারসহ মাত্র ১৩ রান দেন তিনি।
এর আগে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। ২৪ রানেই হারায় ওপেনিংয়ে নামা দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ডিজে ব্রাভো, ক্রিস গেইল ও ওয়ান ডাউনে নামা তৌহিদ হৃদয়ের উইকেট।
এরপরই প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক সাকিব ও পাঁচে নামা শান্ত। দুজনে মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। তবে দলীয় ১০৩ রানে সাকিব ও ১০৯ রানে শান্ত আউট হয়ে গেলে আর কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সাকিব খেলেন ২৭ বলে ৪১ রানের ইনিংস। ৪০ বলে ৪৫ রান করেন শান্ত।
খুলনার হয়ে ৪১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন পেসার খালেদ আহমেদ। দুইটি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম ও ফরহাদ রেজা। তবে কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ বল করেছেন মেহেদী হাসান। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দেন তিনি।
জেডআই/
Leave a reply