সিলেটের মিরাবাজারের খারপাড়ায় মা-ছেলে খুনের ঘটনায় অন্যতম আসামি তানিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে কুমিল্লার তিতাস থেকে তানিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট পিবিআই-এর পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, রোববার সন্ধ্যায় তানিয়ার কথিত স্বামী মামুনকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে কুমিল্লার তিতাসে তার বাড়ি থেকে তানিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও আইজিপির বিশেষ নির্দেশে কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে পিবিআই তানিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামুন ও তানিয়া স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিতেন বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান। গত একবছর ধরে সিলেটের মিরাবাজারে বাসাটিতে ভাড়া থাকতেন মামুন ও তানিয়া। খুনের ঘটনায় জড়িত তানিয়ার নাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছিলো। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায় বলে সংবাদ প্রচারিত হলেও তার বাড়ি কুমিল্লায়।
গত ১ এপ্রিল মিরাবাজারের মিতালী আবাসিক এলাকার ১৫/জে নম্বর বাসায় বিউটি পার্লার ব্যাবসায়ী রোকেয়া বেগম ও তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে রবিউল ইসলাম রোকনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ভাই জাকির হোসেন সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ শুক্রবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রোকেয়াদের সর্বশেষ যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। রোববার সকালে তাদের খোঁজ নিতে মিরাবাজারস্থ বাসায় আসেন নিহতের ভাই জাকির হোসেন।
বাসায় এসে ভেতর থেকে তিনি তাদের দরজা বন্ধ দেখতে পান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও কেউ দরজা না খোলায় তিনি বাড়ির মালিককে খবর দেন। পরে বাড়ির মালিক ঘটনা শুনে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘরে প্রবেশ করে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ সময় ঘরের মধ্যে কান্নারত অবস্থায় পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রোকেয়ার ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলার পর গত বুধবার শহরতলীর বটেশ্বর এলাকা থেকে নাজমুল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
Leave a reply