জরুরি ভিত্তিতে লড়াইয়ের লাগাম টানুন, ইথিওপিয়ার সব পক্ষকে জাতিসংঘ

|

ছবি: সংগৃহীত

ইথিওপিয়ার বিবাদমান পক্ষগুলোকে লড়াই থামানোর অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, দেশটির বিবাদমান পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান, জরুরি ভিত্তিতে লড়াইর লাগাম টানুন। এর ফলে দুর্ভোগে থাকা জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে মানবিক সহায়তা।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, দেশে শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংলাপের বিকল্প নেই। একই দিন ইউনিসেফ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অপুষ্টিতে ভুগছে দেশটির ৬০ লাখের বেশি মানুষ। মধ্য মার্চের মধ্যেই তাদের প্রয়োজন জরুরি সহযোগিতা। এ পরিস্থিতিতে, ৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনে মূল এজেন্ডা থাকবে ইথিওপিয়া।

A woman feeds her livestock in the Somali region of Ethiopia.
ছবি: সংগৃহীত

ধূ-ধূ মরূর বুকে গাছের তলায় চিকিৎসা সেবার মতো ঘটনা সংঘাতে বিপর্যস্ত আফ্রিকান দেশ ইথিওপিয়ায় একটি নিয়মিত চিত্র। অর্থাভাবে সেখানে নেই চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ। তাই জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতাই সেখানে শেষ ভরসা। খরা কবলিত এলাকার বাসিন্দা এক নারী বলেন, আমার সন্তান দীর্ঘদিন থেকেই অসুস্থ, এর মাঝে পরিবারও ভুগছিল নানা সংকটে। দুর্গম এলাকা থেকে দেবেলে এসেছি শুধু চিকিৎসকের খোঁজে। ডাক্তাররা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলেন। একই সাথে জানালেন, শিশুটি ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে। তারা ঔষধ ও পুষ্টিকর খাবার দিয়েছে আমাদের।

ইথিওপিয়ার খরা কবলিত অঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত

ইউনিসেফের হিসেব অনুসারে, মধ্য মার্চের মধ্যে দেশটির ৬০ লাখের বেশি মানুষের জন্য প্রয়োজন জরুরি সহযোগিতা। নতুবা, অপুষ্টি ও খাদ্যাভাবে প্রাণ হারাবে শিশুসহ হাজারো মানুষ। ইউনিসেফের পুষ্টি বিশারদ বশির শেখ মোহাম্মদ বলেন, স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে সহযোগিতা করে ইউনিসেফ। অপুষ্ট শিশুদের শনাক্ত, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ এবং মৃত্যুহার কমাতে আমাদের ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক সেবা দেয়। তাছাড়া, পয়ঃনিষ্কাষণ, গর্ভবতী মায়েদের সেবা এবং তাদের চিকিৎসার জন্য চালাই প্রচারণাও।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড হলো ৫০০ মাইল লম্বা বিশ্বের দীর্ঘতম বজ্রপাত

এ পরিস্থিতিতে, দেশটির সবপক্ষকে বিবাদ এড়িয়ে শান্তি-সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানালো জাতিসংঘ। অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, চলমান সংঘাত-রক্তপাতে বিপর্যস্ত ইথিওপিয়ার সাধারণ মানুষ। সবাইকে বলবো, পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বসুন জাতীয় সংলাপে।

৫ ফেব্রুয়ারি, আদ্দিস আবাবায় বসছে আফ্রিকান ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলন। যার মূল এজেন্ডা ঠিক করা হয়েছে, ইথিওপিয়া সংকট। দেশটির সরকারের সাথে টাইগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীদের দীর্ঘদিনের সংঘাত আনা হবে আলোচনায়।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পতিত মডেলের বিমান আবার চালু ইথিওপিয়ায়


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply