গ্যাসের পাশাপাশি বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর তৎপরতা শুরু করেছে সরকার। গ্যাস সংকট, এলএনজি’র দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়াতে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে আবেদন করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। পাইকারি দাম বাড়লে গ্রাহক পর্যায়েও বাড়বে। এভাবে দাম না বাড়িয়ে নির্দিষ্ট সময় পরপর তা সমন্বয়ের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমেছে নিজস্ব গ্যাসের সরবরাহ। আমদানি করা এলএনজি’র দামও চড়া। আর ভাসমান টার্মিনালে ত্রুটির কারণে আমদানি করা গ্যাসের প্রায় অর্ধেক সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এসব কারণে ভরা শীত মৌসুমেও তেল-চালিত কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে রেখেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলাফল, এবার কেবল বিদ্যুতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়বে অনেক, যা গেল বছর ছিল নয় হাজার কোটি টাকা। এসব যুক্তিতে দাম বাড়াতে চায় বিদ্যুৎ বিভাগও।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, যদিও পিডিবি’র আবেদন ফেরত পাঠিয়েছে বিইআরসি। তথ্য উপাত্তের ঘাটতি ছিল সেখানে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সে আবেদন করেনি তারা। তবে গ্যাসের দাম বাড়াতে পেট্রোবাংলার আবেদন আমলে নিয়েছে বিইআরসি।
২০২০ এর মার্চে সবশেষ বাড়ে বিদ্যুতের দাম। রাজনৈতিক বিবেচনায় না বাড়িয়ে মূল্য সমন্বয়ের একটা টেকসই ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বছরে তিনবার দাম বাড়াতে পারে বিইআরসি।
/এনএএস
Leave a reply