একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে বাংলা একাডেমির নতুন সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে আগামী তিন বছরের জন্য এই পদে নিয়োগ দেয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিধি অনুযায়ী স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের সঙ্গে কাজের সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে একাডেমিতে যোগ দেওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে। গত ৩০ নভেম্বর সাবেক সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর পর থেকেই শূন্য ছিল পদটি।
সেলিনা হোসেন ইতোপূর্বে একাধিক মেয়াদে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধান শালিকের দেশ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমির প্রথম মহিলা পরিচালক হন। ২০০৪ সালের ১৪ জুন চাকুরি থেকে অবসর নেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি।
তার প্রথম গল্পগ্রন্থ উৎস থেকে নিরন্তর প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তার মোট উপন্যাসের সংখ্যা ২১টি, গল্পগ্রন্থ ৭টি এবং প্রবন্ধের গ্রন্থ ৪টি। তার দুটি গ্রন্থ পোকামাকড়ের ঘরবসতি এবং হাঙর নদী গ্রেনেড নিয়ে চলচ্চিত্র এবং কয়েকটি গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ করা হয়েছে।
তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে জ্যোস্নায় সূর্যজ্বালা, হাঙর নদী গ্রেনেড, মগ্ন চৈতন্যে শিস, যাপিত জীবন, নীল ময়ূরের যৌবন, পদশব্দ, চাঁদবেনে, পোকা মাকড়ের ঘরবসতি, নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি, ক্ষরণ, যমুনা নদীর মুশায়রা, আগস্টের একরাত, গেরিলা ও বীরাঙ্গনা, দিনকালের কাঠখড়সহ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
২০১৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সন্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রিতে ভূষিত করে। উপন্যাসে অবদানের জন্য ১৯৮০ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৮ সালে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ২০১০ সালে কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
/এডব্লিউ
Leave a reply