নদীর চেয়ে চাষের মাছে নির্ভরতা বাড়ছে ক্রেতাদের, তাই ফিডের দামও বাড়ছে। এর প্রভাবে প্রায় সব প্রজাতির মাছের দর বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে এমনিতেই মৎস্য খাতে সার্বিক খরচ বেশি। তার ওপর ফিডের দাম আরও বাড়লে মাছ নিয়ে বিপদে পড়তে হবে। এদিকে দক্ষিণে জেলেরা আগের চেয়ে বেশি মাছ পাচ্ছেন। তবে খরচ নিয়ে খুশি নন তারা।
শীতের দাপটে মাছের বাজারেও জবুথুবুভাব। নদীতে জেলেদের আনাগোনা কমায় সরবরাহে টান। তাই চাষের মাছ দিয়ে ছুটির দিনে চাহিদা মেটাতে ক্লান্ত ব্যবসায়ীরা। ফলাফল, মাছের দামে উত্তাপ।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রায় সব বড় প্রজাতির দর কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। হাত দেয়ার জো নেই ইলিশে। শীতে এই মাছের যোগান এমনিতেই কম। তাই বড় পিসের কেজি ১২শ টাকা হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। দাবি, ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহণের খরচ বেড়েছে। মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ ফিশ ফিডের বাড়তি দাম।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে নেবার পথে স্বামীর মৃত্যু, একই অ্যাম্বুলেন্সে মারা গেলেন স্ত্রীও
উত্তরের পাইকারি আড়তে একই চিত্র। এখানে মাছ শিকার মানেই নদী ও বিল। তবে শোল, বোয়াল, টাকি, ট্যাংরা বিকোচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে। কিছু দোকানে মিলছে চাষের প্রজাতিও। কিন্তু দাম নিয়ে খুশি নন কেউ।
তবে শীত হিসেবে নদীতে ভালো মাছ পাচ্ছেন জেলেরা। বড় আকারের মাছ খুব একটা নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আহরণের খরচ বাড়ায় নদীতে বড় নৌকা পাঠাচ্ছেন না মহাজনরা। তাই ছোট নৌকা দিয়ে চাহিদা মেটানো কঠিন। জেলেরা বলছে, শীতের দাপট কমলেই নদী-জলাশয়ে মাছ বেশি মিলবে।
এসজেড/
Leave a reply