পৃথিবীর বিপর্যয় নিয়ে সিনেমার কথা বললে রোল্যান্ড এমরিশের নাম আসে প্রথমদিকে। ‘ইনডিপেনডেন্স ডে’, ‘দ্য ডে আফটার টুমরো’ ও ‘২০১২’ —একের পর এক সায়েন্স ফিকশন আর পৃথিবীর ওপর নেমে আসা বিপর্যয় নিয়ে সিনেমা তৈরিতে ওস্তাদ এই নির্মাতা। এবার পর্দায় হাজির হচ্ছেন ‘মুনফল’ নিয়ে।
চাঁদ তার কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এই বিপর্যয় থেকে মানবজাতিকে উদ্ধারের পথ কী? একজন সাবেক নভোচারি, একজন নাসা বিজ্ঞানী ও একজন ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক এই বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে মিশনে নামেন। ট্রেলার দেখে সিনেমার গল্প এইটুকু ধরা যায়।
বৈশ্বিক বিপর্যয় নিয়ে সিনেমা তৈরি এমরিশের জন্য নতুন নয়। এই জার্মান চলচ্চিত্রকার হলিউডে ‘মাস্টার অব ডিজাস্টার’ নামেই বেশি পরিচিত। তবে একই ধাঁচের সিনেমা বানাতে বানাতে এমেরিশও কিছুটা বিরক্ত। এমরিশ বলেন, বারবার আমাকে দিয়ে এ ধরনের সিনেমা বানানো তারা পছন্দ করেন। আমি সব সময় নতুন কিছু বানাতে চাই। দুয়েক বছর পরপরই আপনি একটা ডিজাস্টার মুভি বানাতে পারেন না।
তবে এবার এমেরিশ খানিকটা বিরতিই নিলেন। ২০১৬ সালে ‘ইনডিপেনডেন্স ডে: রিসারজেন্স’-এর ৫ বছর পর হাজির হলেন ‘মুনফল’ নিয়ে। হ্যালি বেরি, প্যাট্রিক উইলসন ও জন ব্রাডলির মত তারকাকে দেখা যাবে এ সিনেমায়।
কয়েক বছর ধরেই সিনেমাটি নিয়ে কাজ করছেন ষাটোর্ধ এই নির্মাতা। শুরুতে ইউনিভার্সেলের কাছে সিনেমার প্রাথমিক ধারণা বেচে দিয়েছিলেন এমেরিশ। পরে তিনি গল্পের স্বত্ব ফেরত নেন। অর্থ লগ্নির প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি নিয়ে আসেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখান থেকে তিনি প্রচুর তহবিলও পেয়ে যান। যেন সিনেমাটি স্বাধীনভাবে নির্মাণ করা যায়। সব প্রচেষ্টার ফসল হয়ে অবশেষে পর্দায় আসতে যাচ্ছে ‘মুনফল’।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। ১৪৬ মিলিয়ন ডলার বাজেটে নির্মিত ছবিটি লগ্নিকৃত অর্থ কি তুলে আনতে পারবে? দর্শক কি আরও একবার মহাপ্রলয় ঠেকাতে সময়ের সাথে লড়াইয়ের উত্তেজনা পাবে। নাকি কিছুটা বিরক্ত হবে পরিচালকের মতই? সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
/এডিব্লিউ
Leave a reply