বিক্রি হচ্ছে আঙ্গুলের ছাপ

|

বিক্রি হচ্ছে আপনার আমার আঙ্গুলের ছাপ। আরেকজনের এনআইডি বা বায়োমেট্রিকে মোবাইল সিম বিক্রি করা হচ্ছে অন্যদের কাছে। মিলছে রাস্তাঘাটে ফেরিওয়ালার কাছেও। এ সিম দিয়ে কেউ অপরাধ করলে ফেঁসে যাবেন অন্য ব্যক্তি। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব বলছেন, এসব জালিয়াতির বিষয় তারা জানেন না। আর টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বলতে গেলে একরকম অসহায়।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা। ফুটপাত দিয়ে হাটতে হাটতে দেখা মেলে এমন অনেক সিম ফেরিওয়ালার। ঘুরে ঘুরে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রি করেন। বায়োমেট্রিক ও এনআইডি ছাড়াই একটা সিম কেনার জন্য খরচ করতে হবে তিনশ টাকা। সাধারণত আরও অনেক কম দামেও বৈধভাবে সিম পাওয়া যায়।

এতো সহজ মোবাইল সিম কেনা! কিন্তু নিয়ম তো তা বলে না। সিম বিক্রেতা জানান সিম বিক্রির ভেতরের কিছু তথ্য। তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট থাকে। টার্গেট পূরণ করতে গিয়ে আমরা এই করি।

ফেরিওয়ালা সিম বিক্রেতার অভাব নেই সারা দেশে। রাজধানীর আরেক জনবহুল এলাকা গুলিস্তানের এক সিম বিক্রেতা জানান, একটি সিম নয় চাইলে তিনি দিতে পারেন শত শত সিম।

সিম মোবাইলের ভেতরে দিতেই দেখা যায় সব ঠিকঠাক। অর্থাৎ, অন্য কারও বায়োমেট্রিক ও এনআইডির তথ্য দিয়ে সিমটি বিক্রি করা হয়েছে। এই সিম দিয়ে যে কেউ যা ইচ্ছে করতে পারবে। এমনকি ভয়াবহ অপরাধ করলেও দোষ পড়ছে অন্যের ঘাড়ে।

এমন জালিয়াতি বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে তাগাদা দিয়ে আসছে প্রযুক্তি বিশ্লেষক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। যদিও, মোবাইল ফোন অপারেটরদের দাবি যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই সিম সরবরাহ করেন তারা।

অ্যামটবের মহাসচিব ব্রি. জে. এস এম ফরহাদ বলেন, আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া সিম বিক্রি করার জন্য পুরস্কার পেয়েছি।

এসব বিষয় তদারকি ও আইন প্রয়োগের দায়িত্ব টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির। কিন্তু, এমন বিষয়ে তারাও এক প্রকার অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের ব্যার্থতা আছে। অ্যামটবও দায় এড়াতে পারে না।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠনের তথ্য বলছে ১৬ কোটি মানুষের দেশে প্রায় ১৮ কোটি সিম অ্যাকটিভ আছে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply