ন্যাটোর বিরুদ্ধে একজোট রাশিয়া ও চীন

|

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিরুদ্ধে এবার একজোট হলো রাশিয়া ও চীন। শুক্রবার দু’দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে আসে এ ঘোষণা। বৈঠকে ন্যাটোর বিরুদ্ধে সম্প্রসারণবাদের অভিযোগ তোলেন ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিং। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের প্রভাব মোকাবেলায় জোর দেন মস্কো-বেইজিং সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর।

প্রায় তিন বছর পর চীনে ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা-রাশিয়া উত্তেজনার মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্টের বেইজিং সফর।

শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হয়ে গেলেও, পুতিনের চীন সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে সাম্প্রতিক ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে। গত ৯ বছরের মধ্যে, পুতিন-শি জিনপিং ৩৮ তম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার।

বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায়, সরাসরি ন্যাটোর সমালোচনা করেন দু’নেতা। পশ্চিমাদের চাপের বিপরীতে মস্কোর পাশে থাকার ঘোষণা দেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে চীন ও রাশিয়ার অবস্থান বরাবরই স্বচ্ছ। আমাদের সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবেই ভালো আর এ বৈঠকের পর আরও প্রাণবন্ত হবে দু’দেশের সম্পর্ক। সব বিষয়ে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কারণেই পরস্পরের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। যা দুই দেশের জনগণের জন্যই ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।

চীন-রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে অন্য দেশের নাক গলানোর সমালোচনা করেন পুতিন। অভিযোগ করেন, রাশিয়াকে দমনে ন্যাটো জোটকে ব্যবহার করছে পশ্চিমারা। বৈঠকে তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের প্রতি সমর্থনও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি। তবে ভিডিও কনফারেন্স, ফোনের মাধ্যমে কিন্তু গভীর যোগাযোগ রেখেছি। বন্ধুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত অবস্থানের কারণে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতি হচ্ছে। চীন-রাশিয়া এমন একটি সম্পর্কের উদাহরণ, যারা পরস্পরের উন্নয়নের সমর্থক আর সহযোগী।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ১২ টি পশ্চিমা দেশ মিলে গঠন করে সামরিক জোট ন্যাটো। সে সদস্য সংখ্যা বেড়ে এখন ৩০। স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখে এ জোট। তবে, সোভিয়েতের পতনের পরও, মস্কোর সাথে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা তৈরি হয় ন্যাটোর। ইউক্রেন ইস্যুতেও প্রকাশ্যে কিয়েভের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জোটটি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply