এখন কী করবেন জায়েদ খান?

|

জায়েদ খান। ফাইল ছবি।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুন আক্তারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করার ঘোষণা এসেছে। একইসাথে নিপুনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে জায়েদ খানের ওপর বিরক্ত হয়ে তার মা বলে গিয়েছিলেন, বিয়ে না করে শিল্পী সমিতি নিয়েই থাকতে, পদ হারানোর পর সেই জায়েদ এখন কী নিয়ে থাকবেন, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

শিল্পী সমিতি নিয়ে নিজ অনুরাগের কথা অনেকবারই বলেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেছিলেন, শিল্পী সমিতি তার ভালোবাসার জায়গা হয়ে গেছে। তিনি সমিতির জন্য অনেক কাজ করেছেন বলেই তৈরি হয়েছে এতো শত্রু। এছাড়া শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে বরাবরই আত্মবিশ্বাসী জায়েদ নির্বাচনের পরদিন বলেছিলেন, আমি না জিতলে কে জিতবে? আমি কাজ করেছি, তাই জিতেছি। আগামীবারও ভোটে দাঁড়ালে জিতবো।

তবে এসব আত্মবিশ্বাস দিনশেষে খুব একটা কাজে লাগেনি জায়েদ খানের জন্য। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, জায়েদ খানের কাছে অর্থ পাওয়ার বিষয়টি দু’জন ভোটার আমাদের জানিয়েছে। এছাড়া, কিছু ভিডিও ফুটেজে আমরা এর প্রমাণ পেয়েছি। যা গঠনতন্ত্রের ১০ নম্বর ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এজন্য তার প্রার্থিতা বাতিল করা হলো। আর ১৬৩ ভোট পাওয়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুন আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হলো।

আরও পড়ুন: স্ক্রিনশট দেখালেন নিপুন, জায়েদের দাবি ‘সুপার এডিটেড’

এর আগে, অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগ এবং সেই দাবির সাপেক্ষে যেসব তথ্য প্রমাণ পেশ করেছিলেন নিপুন, সেগুলোকে ‘সুপার এডিটেড’ বলে দাবি করেছিলেন জায়েদ খান। বলেছিলেন, স্ক্রিনশটের ব্যাপারটি নির্বাচনের আগের দিনই আমার কাছে এসেছে। একজন পাঠিয়েছে। আধুনিক যুগে এগুলো সবাই জানেন। এসব স্ক্রিনশট ছড়ানোর বিষয়ে মামলা করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: নিপুনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন জায়েদ খান

জায়েদ আরও বলেছিলেন, এগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই কাজ করা হয়েছে। এজন্য, গত ২০ জানুয়ারি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছিলাম। সেখানে সাদিয়া মির্জা, ফিরোজ শাহী, এবং বেবি নামের তিনজন লোকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরা শিমু হত্যার সময় থেকেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তৎপর ছিল।

তবে, শিল্পী সমিতির পদ হারিয়ে মামলা নাকি শিল্পী হিসেবে কাজ করে যাবেন জায়েদ খান, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন: জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল, নিপুনকে জয়ী ঘোষণা


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply