দিলোন হেলবিগ, আট বছর বয়সী শিশু। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের আইডাহো অঙ্গরাজ্যের বোইস শহরে তার বসবাস। শহরটির একটি বিদ্যালয়ে সেকেন্ড গ্রেডে পড়ে দিলোন হেলবিগ। আর এই শিশু কিনা ইতোমধ্যে লিখে ফেলেছে একটি বই। শুধু তাই নয়, স্থানীয় পাঠাগারে নিজের হাতে লেখা বইটি সে চুপিসারে রেখেও এসেছে।
এরপর পাঠকদের মাঝে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বইটি। একের পর এক পাঠক বইটি পড়ার জন্য খুঁজতে থাকেন। এমন অবস্থায় ওই পাঠাগারে সবচেয়ে বেশিবার খোঁজা বইয়ের তালিকায় শীর্ষে উঠেছে ওই বই। এ নিয়ে বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্টসহ বিশ্বের অনেক গণমাধ্যমে খবর হয়েছেন দিলোন হেলবিগ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে দিলোন হেলবিগের বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। ছুটিতে বাড়িতে বসে নিজের নোটবুকে সে শিশুদের জন্য বড়দিনের অভিযান নিয়ে একটি কাহিনি লিখে ফেলে। বইটিতে রয়েছে হাতে আঁকা ছবিও। এর মাঝে একদিন দাদির সঙ্গে বাড়ির পাশের কমিউনিটি পাঠাগারে যায় দিলোন। সঙ্গে ছিল নিজের লেখা বইটি। এ সময় সবার অগোচরে সে পাঠাগারে শিশুদের শাখায় বইয়ের শেলফে নিজের হাতে লেখা ৮৮ পৃষ্ঠার বইটি রেখে আসে। যা তার দাদি কিংবা পাঠাগার কর্তৃপক্ষ কেউ টের পায়নি।
দু’দিন পর দিলোন হেলবিগ তার মা সুসান হেলবিগকে ঘটনাটি জানায়। পরে সুসান বইটি খুঁজতে দিলোনকে সঙ্গে নিয়ে ওই পাঠাগারে যান, কিন্তু বইটি পাননি। এরইমধ্যে কেউ হয়তো পড়ার জন্য বইটি সংগ্রহ করেছিলেন। পাঠাগার কর্তৃপক্ষকে বইটি ফেলে না দেওয়ার অনুরোধ করেন সুসান হেলবিগ। পাঠাগার কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনাটি উল্লেখ করে বইটির ছবি পাঠাগারের ফেসবুক পেজে আপলোড করে। বইটির নাম দেওয়া হয় ‘দি অ্যাডভেঞ্চারস অব দিলোনস ক্রিসমাস’।
এরপর পাঠকদের মধ্যে তুমুল সাড়া পড়ে যায়। একের পর এক পাঠক পাঠাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের অনেকেই দিলোনের লেখা বইটি পড়ার আগ্রহ দেখান। পাঠাগার কর্তৃপক্ষ অপেক্ষমাণ হিসেবে তাদের নাম জমা নেয়। আর তাতে ওই পাঠাগারে সবচেয়ে বেশিবার খোঁজা বইয়ের তালিকায় শীর্ষে উঠেছে বইটি। আরও চমকপ্রদ বিষয় হলো, দিলোন হেলবিগের এমন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মার্কিন লেখক ক্রিস্টোফার বারগেস।
Leave a reply