একবিংশ শতাব্দিতে দাঁড়িয়ে এখনও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ড। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের এক তথ্যে দেখা গেছে, গত ২২ বছরে এই রাজ্যে ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে হাজারেরও বেশি নারীকে। সাম্প্রতিক সময়েও এই প্রবণতায় কোনো পরিবর্তনই আসেনি। ২০২১ সালেই এই রাজ্যে ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ২৪ জন নারীকে। ২০২২ সালে দুই মাসেই এভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন চারজন। এক হিসেবে, প্রতিদিন তিনজন নারীকে এমন অভিযোগে হত্যা করা হয় এই রাজ্যে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
চলতি বছরে গত ২ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার লুকিয়া গ্রামে এক নারীকে ডাইনি অপবাদে মারধর করে স্থানীয়রা, এতে মৃত্যু হয় তার। মাকে রক্ষা করতে ছুটে যান তার দুই ছেলে অজয় ও সঞ্জয়। তাদেরও দড়ি দিয়ে বেঁধে চলে নির্মম প্রহার। এখন অজয়ের চোখটাই নষ্ট হওয়ার পথে। এই ঘটনায় পুলিশ যে অভিযোগ দায়ের করে সেখানে মূল অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন স্বয়ং পঞ্চায়েত প্রধান। সব মিলিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে সুরা পড়ে বিদ্রুপের শিকার শাহরুখ
গত ৫ জানুয়ারিও ‘কালোযাদু’ করার অভিযোগে এক দম্পতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ঝাড়খণ্ডে। এরপর ১২ ও ২৭ জানুয়ারিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সাত বছর ধরে প্রতি বছর গড়ে ডাইনি সন্দেহে খুনের ঘটনা ৩৫টি।
তবে এই ধরনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয় খুবই কম। রাজ্য পুলিশের খাতায় এমন ২৪টি খুনের মামলা রুজু হয়েছে। গত সাত বছরে ঝাড়খণ্ডে ২৩০ জনের মৃত্যুর কারণ হলো ডাইনি অপবাদ। গত ২২ বছরে সংখ্যাটা এক হাজারের বেশি।
এসজেড/
Leave a reply