ব্যক্তিগত জমিতে রোপন করা গাছ কাটতে অনুমোদন লাগবে। বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন ২০২২ এর খসড়ায় এ কথা বলা হয়েছে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়াটি তোলা হয়। এরপর সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, কেউ বাগান কিংবা স্থায়ী কোনো গাছ লাগালে সেগুলো তাদের ইচ্ছেমতো কাটা যাবে না। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এ রকম নিয়ম আছে। তিনি বলেন, এ আইনের মাধ্যমে সব বনাঞ্চলকে সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। সামাজিক বনায়নে থাকা গাছও এর আওতায় আসবে। এখানে বুঝতে হবে স্থায়ী গাছের কথা বলা হয়েছে। লাউ গাছ কাটতে কোনো সমস্যা নাই।
বনশিল্প উন্নয়ন আইন শুধু বনের নিরাপত্তাই নয় সব ধরনের গাছ ও বনের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এই আইন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সরকারি স্থাপনা বা রাস্তাঘাট তৈরির জন্য যেকোনো ক্ষেত্রে গাছ কাটতে হলে অনুমোদন লাগবে। বন শিল্প সংরক্ষণ করা এ আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, বনশিল্প উন্নয়ন আইনে একটি করপোরেশন থাকবে। তাতে একজন চেয়ারম্যান এবং পরিচালকের সমন্বয় বোর্ড গঠন হবে। বোর্ড সব ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে। অন্যদিকে, ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ মানুষ যাতে সহজে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে কাটতে পারে, সেজন্য এই আইনে অনলাইনে অনুমোদন নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
Leave a reply