মীর মুশফিক:
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন রুখতে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের। বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক ও অস্ত্র চালানোর পাশাপাশি কীভাবে গেরিলা হামলা চালাতে হয় সেটিও শেখানো হচ্ছে হাতে-কলমে। এর পাশাপাশি আহতদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকার মতো প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকদের। মূলত বয়সে তরুণরাই পাচ্ছেন এমন প্রশিক্ষণ।
হামলা হলে কীভাবে সাজোয়া যানের আড়ালে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে, সেটিরও চলছে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ। কীভাবে আহতদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিতে হবে সেটিও শেখানো হচ্ছে হাতে কলমে। রুশ-ইউক্রেন উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অঞ্চলটিতে। শঙ্কা যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া। আর তাই সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের।
প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী বেসামরিক আন্তন জানান, যেকোনো সময় রাশিয়া আগ্রাসন চালাতে পারে। মাতৃভূমিকে রক্ষায় তাই অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছি, যাতে প্রয়োজন হলেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি। আমরা ভয় পাইনি। ইউক্রেনবাসী নিজেদের রক্ষা করতে জানে। তাই অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। রুশ বাহিনী আগ্রাসন চালালে এক বিন্দুও ছাড় দেবো না।
প্রশিক্ষণের জন্য মূলত বাছাই করা হচ্ছে তরুণদের। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এবং ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সমন্বয়ে দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ।
ইউক্রেনের এক সমরাস্ত্র প্রশিক্ষক জানান, অস্ত্রের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তাও প্রয়োজন। রুশ আক্রমণে সাধারণ মানুষ যেনো ভয় না পেয়ে উল্টো প্রতিরোধ গড়তে পারে, তাই এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এদিকে, কৃষ্ণ সাগরে নতুন করে মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ সাগর অভিমুখে রাশিয়ার ৬ যুদ্ধজাহাজ
ইউএইচ/
Leave a reply