ভোটের মাঠে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি নিয়ে তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামে। কারা এই অস্ত্রধারী, এতো অস্ত্রই বা কোথা থেকে এসেছে এই প্রশ্নই এখন সবার মুখে। এনিয়ে বিব্রত সরকারি দলের নেতারাও। ব্যবহৃত এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি এখনও। কোনো অস্ত্রধারীকেও০ চিহ্নিত করা যায়নি। তবে তাদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সপ্তম ধাপে ইউপি নির্বাচনের দিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে গণিপাড়া স্কুল কেন্দ্রে চলে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ। আরও কয়েকটি কেন্দ্রে অনেকের হাতে হাতে দেখা গেছে অস্ত্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই গুলি করতে দেখা গেছে তাদের। সেই সাথে লাটিসোটার ছড়াছড়ি তো ছিলই। দেখে মনে হতে পারে, ভোটকেন্দ্র নয় যেনো যুদ্ধক্ষেত্র।
সাতকানিয়ায় একাধিক কেন্দ্রে অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখে বিস্মিত ভোটাররা। সাতকানিয়ার প্রায় সবকটি কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও ভোটের আগে কেনো অস্ত্র উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এখন।
ভোটের মাঠে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার আর প্রাণঘাতি সংঘাত অশনি সংকেত বলছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। স্থানীয়রা বলছেন, অস্ত্রধারীদের বেশিরভাগ বহিরাগত। বিভিন্ন ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে এদের জড়ো করার অভিযোগ উঠছে মূলত সরকারি দলের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী উভয়ের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিব্রত দলের নেতারাও।
সংঘাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার এবং একটি মাত্র অস্ত্র উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। এ নিয়েও অসন্তুষ্ট স্থানীয়রা।
এসজেড/
Leave a reply