সেন্টমার্টিনে নতুন জেটি নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়: উপজেলা প্রশাসন

|

সেন্টামার্টিনের বর্তমান জেটি।

নানা সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত আর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপের একমাত্র জেটিটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কায় আছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। দ্রুত সংস্কার কিংবা বিকল্প জেটি নির্মাণের দাবি করছেন তারা। জেটির সামনের অংশের পার্কিং প্ল্যাটফর্ম সংস্কারে বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জেলা পরিষদ। অন্যদিকে, নতুন জেটি নির্মাণে উদ্যোগের কথা বলছে উপজেলা প্রশাসন।

প্রকৃতির অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার সেন্টমার্টিন। দেশের একমাত্র এই প্রবাল দ্বীপটিতে প্রতিদিন আনাগোনা হাজারো পর্যটকের। সমুদ্রের নীল জলরাশি বেষ্ঠিত ৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপে নৌযান নোঙর, যাত্রী ও পণ্য ওঠা নামার জন্য রয়েছে একটি মাত্র জেটি। ওপর থেকে দেখলে ততটা বোঝা না গেলেও ভঙ্গুর দশা প্রায় দুই দশক আগে নির্মিত জেটিটির। কোথাও কোথাও ভেঙে পড়েছে রেলিং, পিলারে ধরেছে ফাটল। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা পর্যটক ও স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন: রাস্তা নির্মাণে চাঁদা দাবি, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের হামলায় আহত ৭

জেটির সামনের পার্কিং প্ল্যাটফর্ম সংস্কারে জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। তবে স্থানীয়দের দাবি, পুরো অবকাঠামো সংস্কার কিংবা বিকল্প জেটি নির্মাণের।

এদিকে, নতুন জেটি নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র পেলে কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটকদের সুবিধার্থে ২০০২-২০০৩ অর্থ বছরে জেটিটি নির্মাণ করা হয়। এরপর ঘূর্ণিঝড় সিডরে ব্যাপক ক্ষতি হয় জেটিটির। সবশেষ গেত বছরের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বড় ধরনের ক্ষতি হয় অবকাঠামোটির।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply