সিসি ক্যামেরায় ৯৯ বছরের নারীকে ধর্ষণের শিকার হতে দেখলেন স্বজনরা

|

ছবি: সংগৃহীত

৯৯ বছর বয়সী এক রোগীকে ধর্ষণ করছিল ৪৮ বছর বয়সী এক কেয়ার ওয়ার্কার। সেই ঘটনা গোপন ক্যামেরায় দেখতে পান স্বজনরা। তবে কিছুই করার ছিল না নিরুপায় স্বজনদের। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সরকারি কৌঁসুলিরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ৯৯ বছর বয়সী ওই নারীর আচরণে পরিবর্তন দেখতে পান তার স্বজনরা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। তার গায়ে স্পর্শ করতে দিতেন না তিনি। আর স্বজনরা দেখা করতে গেলে বলতেন, আমাকে রেখে যেও না, তারা আমাকে আঘাত করবে।

ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মহিলার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করায় ওই নারীর রুমে গোপন একটি ক্যামেরা বসায় তার স্বজনরা। কেন তিনি এমন আচরণ করেন, সেটাই খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন তারা। পরে সেই সিসি ফুটেজে দেখা যায়, ওই নারীর রুমে প্রবেশ করছেন ৪৮ বছর বয়সী কেয়ার ওয়ার্কার ফিলিপ ক্যারি। তারপর ওই নারীকে ধর্ষণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রথম বেঞ্চে বসা নিয়ে মারামারি দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীর, ভিডিও ভাইরাল

সাথে সাথে পুলিশে ফোন দেয় ওই নারীর পরিবার। পুলিশ এসে ক্যারিকে গ্রেফতার করে। সরকারি কৌঁসুলিরা ফরেনসিক সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ক্যামেরা ফুটেজ আদালতে পেশ করার পর নিজের দোষ স্বীকার করে নেন ক্যারি। যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্লাকপুলে একটি কেয়ার হোমে কাজ করতেন ক্যারি। সেখানেই এমন ঘৃণ্য কাজ ঘটান তিনি। এ ঘটনায় প্রিসটন ক্রাউন আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ক্যারিকে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply