চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হালিমা খাতুন (৬৫) নামের এক হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই নারীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত হালিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, হালিমা খাতুনের স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক ২০১৬ সালে ৯ই ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে খুন হয়। পরে নিহতের জামাই এমদাদুল হক বাদী হয়ে শাশুড়ি হালিমা খাতুনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় হালিমা খাতুনকে ২০২১ সালের ৬ই অক্টোবর গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। পরে হালিমাকে আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সেই থেকে হালিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দী ছিল।
জেলা কারাগারের জেলার শওকত হোসেন মিয়া জানান, বিকেলে কয়েকজন কয়েদির সাথে মুড়ি খাওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে হালিমা খাতুন। এসময় কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিমা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: সাদিয়া আফরিন বলেন, বিকেলে জেলা কারাগার থেকে এক নারী আসামিকে জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জেলা কারাগারের চিকিৎসক ডা: মশিউর রহমান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেল সুপার (অ.দা.) ও জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার বিএম তারিক উজ-জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
Leave a reply