ছোট্ট কার্ডবোর্ডে গোটা পৃথিবী-প্রকৃতির ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি বানিয়ে নজর কেড়েছেন থাইল্যান্ডের শিল্পী দেতনারিন খুনারান। শিল্পের মাধ্যমে প্রাচীন জীবনধারা ফুটিয়ে তুলতে ভালোবাসেন তিনি। এই শিল্পী জানান, ভুলতে বসা অতীতকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই তার লক্ষ্য।
দেতনারিনের দোকানঘরটা সাদামাটা। সেখানে থরেথরে সাজানো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। একটু গভীরভাবে দেখলেই কেটে যাবে ভ্রম। সত্য নয় বরং এটি দোকানের ছোট্ট একটি প্রতিকৃতি। আশপাশের আরও অনেক কিছুই নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলছেন থাইল্যান্ডের শিল্পী দেতনারিন। পরিবেশ-সমাজ-পরিবারের ক্ষুদ্রাকার আকৃতি গড়া তোলাই তার শখ। তার সুনিপুণ কারুকাজে সেগুলোও পায় প্রাণ।
দেতনারিন খুনারান বলেন, পুরোনো জিনিসপত্র সংগ্রহে রাখতে ভালো লাগে। এটা একটা অদ্ভুত আকর্ষণ। সেখান থেকেই পুরোনো ধাঁচের ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি বানানো শুরু। ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই।
দেতনারিনের প্রত্যেক শিল্পকর্ম বহন করে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনা। কাগজ, কাঠ, আঠাসহ হরেক উপকরণের মিশেলে তিনি ফুটিয়ে তোলেন দৃশ্যপট। তার দাবি, সেগুলোকে বাস্তবসম্মত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। দেতনারিন বলেন, ছোট জিনিসগুলো যুক্ত করার চেষ্টা করি, যাতে সবকিছু বাস্তবসম্মত লাগে, ফুটে ওঠে ইতিহাস। খুব সহজেই যেন অতীত স্মরণ হয়। কেউ যখন এই শিল্পের দিকে তাকাবে, এক মুহূর্তে ৪০/৫০ বছর পেছনে পৌঁছে যাবে।
তিন বছর আগে শখের বসে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে দেতনারিন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। পাঁচ থেকে ৬’শ ডলারে বিক্রি করেন তিনি একটি শিল্পকর্ম।
Leave a reply