বাংলাদেশে ফিরতে পেরে দারুণ খুশি টাইগারদের নতুন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে জানান দিচ্ছেন এই দেশের প্রতি তার ভালোলাগা, ভালোবাসার কথা। বলেছেন, খুবই ব্যস্ত শহর ঢাকা। এক বন্ধুর সাথে রাতে বের হয়েছিলাম। মনে হয় এখানকার মানুষেরা রাতে ঘুমায় না। তারা খুবই অসাধারণ। খাবারের দোকানগুলোও অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। নতুন দায়িত্ব পালনে আমি উন্মুখ হয়ে আছি। বিপিএলের পরই দলের সাথে কাজ শুরু করে দিতে পারবো।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত এক নাম জেমি সিডন্স। এক দশক আগে হেড কোচের দায়িত্ব পালন করা এই অজি আবারও ফিরে এসেছেন টাইগার শিবিরে। তবে এবার ভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন জেমি। লাল-সবুজ দলে তিনি পালন করবেন ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু না করলেও বিপিএলের ম্যাচ দেখে বের করছেন শিষ্যদের ব্যাটিং সমস্যা।
২০০৭ থেকে ২০১১- এই চার বছরের সফরে পাড়ি জেমি সিডন্স পাড়ি দিয়েছেন অনেক চড়াই-উতরাই। তার অধীনে ১৯ টেস্টের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ২টি আর হেরেছে ১৬টিতে। ওয়ানডেতে ৮৪ ম্যাচে ৫৩ হারের বিপরীতে জয় ছিল ৩১টি। টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ৮ ম্যাচের ৮টিতেই হেরেছিল টাইগাররা। তবে অনেকের দাবি, জয়-পরাজয় ছাপিয়ে তার অধীনে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে বিন্দু পরিমাণ ফুরসত নেই এই অস্ট্রেলিয়ান কোচের। বিপিএলের ঢাকা-সিলেট-ঢাকা পর্বে শিষ্যদের ব্যাটিং দেখে তিনি ছক আকঁছেন কর্মপরিকল্পনার। সিলেটেও ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন তার বাংলাদেশ প্রীতির কথা। জেমি বলেন, সিলেট অসাধারণ এক জায়গা। যেখানেই তাকাই, সেখানেই পাহাড় ও সবুজের সমারোহ দেখতে। নিঃসন্দেহে মন ভালো করে দেয়ার মতো পরিবেশ।
জেমি সিডন্সের কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল সাকিব-তামিমদের দিয়ে। গুরু হিসেবে তারকাখ্যাতিও পেয়েছিলেন সেই সময়ে। ২০১১ বিশ্বকাপের পর বিদায় নিলেও মাঝের বছরগুলোতে ক্রিকেটাররা তার কাছ থেকে নিয়েছেন ব্যাটিং টিপস। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডে ডেকে নিয়ে তামিম ইকবালকে খেলিয়েছেন ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডসে। সেই সিডন্সের আগমনে হয়তো প্রত্যাশা পূরণ হবে টাইগারদের।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে সাফল্য এনে দিতে পারবেন সিডন্স: সুজন
Leave a reply