স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:
সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন রানী আক্তার (২৫) নামে এক নারী। আহত রানী আক্তার মোহনগঞ্জের জৈনপুর গ্রামের আ. মান্নানের মেয়ে। অন্যদিকে ছুরিকাঘাতকারী সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হক (৩৫) একই উপজেলার কলুঙ্কা গ্রামের বাসিন্দা। বিচ্ছেদের পর রানী ফের বিয়ে করায় ক্ষোভে তাকে ছুরিকাঘাত করেছে মোজাম্মেল, এমনটিই দাবি ভুক্তভোগীর পরিবারের।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নেত্রকোণার সাতপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্থানীয়রা রানীকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানায়, মোজাম্মেল ও রানী আক্তার সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই বোন ছিল। ১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর গাজীপুরে একটি গার্মেন্ট কারখানায় রানী কাজ নিলেও জুয়া ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে মোজাম্মেল। সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদ হয় এবং রানী দ্বিতীয় বিয়ে করে। এতেই ক্ষিপ্ত ছিল মোজাম্মেল।
আরও পড়ুন: মোবাইলে ব্যস্ত নার্স দিলেন ৪ ডোজ টিকা, হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থী
ভুক্তভোগীর ছোট বোন তন্নী আক্তারের রাত দিয়ে নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, শনিবার অসুস্থ বাবাকে দেখার জন্য গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল রানীর। এর আগের দিন শুক্রবার তার দ্বিতীয় স্বামী সাতপাই এলাকায় ছোট বোনের বাসায় রেখে যান রানীকে। এ খবর জানতে পেরে তন্নীর বাসায় এসে রানীকে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে মোজাম্মেল। তাতে রানী অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিঠে, গলায় ও কানের নিচে ছুরিকাঘাত করে মোজাম্মেল। পরে তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসলে মোজাম্মেল পালিয়ে যায়।
ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ আরও বলেন, ঘটনার পরই অভিযুক্ত মোজাম্মেল পালিয়ে যায়। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। ভুক্তভোগী মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজেড/
Leave a reply