পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদসহ তিন কর্মকর্তার জার্মানি যাওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত আদেশে (জিও) অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে। বিছানার চাদর ও বালিশের কভার কিনতে জার্মানি যাচ্ছেন আইজিপি- এমন খবরের ব্যাখ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। জানানো হয়েছে, বিভিন্ন পণ্যের প্রাক্–জাহাজীকরণের আগে মান যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা আছে। সে কারণেই এই সফর। সরকারি আদেশে অনিচ্ছাকৃত ভুল থেকে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের জন্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ক্রয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সরকারি ক্রয় নীতিমালা অর্থ্যাৎ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) অনুসরণ করেই এ ধরনের কেনাকাটা সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এসব ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কর্তৃক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং উৎপাদনের সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ সফরকে কেন্দ্র করে যে সরকারি আদেশ বা জিও জারি হয়েছিল তাতেও অসাবধানতাবশত ভুল রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে জিওটি পড়লে বোঝা যাবে, আইজিপি মহোদয় এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কভার কিনতেই জার্মানি যাচ্ছেন। অথচ বিষয়টি তা নয়। চাদর ও বালিশের কাভার কোনোটিই বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে না। জিওর শব্দগত বিন্যাসের কারণেই এ ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কভারের (ডাবল) শিপমেন্টের জন্য (জাহাজীকরণ) ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্টে’ অংশ নিতে আইজিপি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. ফিরোজ উদ্দীন খলিফা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে নয়দিনের সফরে জার্মানি যাবেন।
Leave a reply