৬ বছর ধরে গলায় আটকে টায়ার! অবশেষে মুক্তি

|

ছবি: সংগৃহীত

বড় আকৃতির একটি কুমির। মুখে আটকে ছিল মোটরসাইকেলের টায়ার। অবশেষে এক পক্ষীবিদের চেষ্টায় মুক্তি পেলো কুমিরটি। অবশেষে কুমিরটিকে ধরে সেটির গলা থেকে আটকে থাকা টায়ার সরানো সম্ভব হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়। খবর নিউজ এইটিনের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বনবিভাগের কর্মীরা একে মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন। প্রায় ১৪.৮ ফুট দৈর্ঘ্যের নোনতা জলের স্ত্রী কুমিরটি গত ৬ বছর ধরে ইন্দোনেশিয়ার পালু প্রদেশের প্রায় আইকন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শহরের নদীতে ঘাড়ে টায়ারসহ সরীসৃপটিকে প্রায়ই দেখা যেতো। ২০১৬ সালে প্রথমবার তাকে ওই অবস্থায় দেখা যায়। সারা পৃথিবীর পশুপ্রেমীদের সমবেদনা কুড়িয়েছিল প্রাণীটি। অনেকেই ভয় পেয়েছিলেন, ওই টায়ার হয়তো তার গলায় ফাঁস হয়ে বসবে। ২০২০ সালে অস্ট্রেলীয় কুমির বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ রাইট এবং আমেরিকার বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ফরেস্ট গ্যালান্ট চেষ্টা করেছিলেন তাকে মুক্ত করতে, কিন্তু পারেননি৷

সম্প্রতি এই শহরে এসেছেন পক্ষী ব্যবসায়ী টিলি (৩৫)। তিনি পাখি ধরে তারপর বিক্রি করেন। তিনি বেশ কয়েকবার কুমিরটিকে দেখেছিলেন রোদ পোহাতে। তখনই ঠিক করেন এই যন্ত্রণা থেকে তাকে মুক্তি দিতেই হবে। একাধিকবারের চেষ্টায় তিনি কুমিরটিকে ফাঁদ পেতে বন্দি করেন। সাহায্য করেন দুই বন্ধু। তারপর বন্দি অবস্থাতেই তাকে টায়ারমুক্ত করেন। এরপর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। টিলি ও তার বন্ধুদের সাধুবাদ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হয়তো চামড়ার লোভে ফাঁদ পেতে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল কুমিরটিকে। তারপর ধরতে পারা যায়নি। কিন্তু টায়ারটি তার গলায় আটকে যায়। আরও একটি আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তা হলো, কুমিরের মতো সরীসৃপ প্রায়ই আবর্জনাপূর্ণ নোংরা জলে যায়। সেভাবেই হয়তো টায়ার আটকে গিয়েছিল।

১৭ হাজার দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল অবধি সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২৭৯ বার কুমিরের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ২৬৮টি ক্ষেত্রে আক্রমণ করেছে লবণাক্ত জলের কুমির। তার মধ্যে ১৩৫টি হানা ছিল ভয়ঙ্কর।

আরও পড়ুন: ২০২০ সাল থেকে ৭৮ বার করোনা পজেটিভ!

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply