Site icon Jamuna Television

যমুনা গ্রুপের টাকা সরানোর চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে জালিয়াত চক্র

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা সরিয়ে নেয়ার চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে জাকির হোসেন জালিয়াত চক্র। এছাড়া মাজহারুল ইসলাম মাসুমসহ অন্যান্য পলাতকদের ধরার চেষ্টা চলছে বলেও জানান কর্মকর্তারা। সই জাল করে গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যমুনা বিল্ডার্সের হিসাব থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চক্রান্ত করে তারা। চক্রটি ব্যাংক থেকে আরও কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

জাকির হোসেন ছিলেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার এসএমই সেলস টিম ম্যানেজার। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ফন্দি করেন, যমুনা বিল্ডার্সের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা আত্মসাৎ করবেন।

ঘটনা গত সেপ্টম্বরের। যমুনা গ্রুপের একজন পরিচালকের সই জাল করে, ডাচ বাংলা ব্যাংকের রামপুরা শাখা থেকে আরটিজিএসর মাধ্যমে কোটি টাকা সরানোর চেষ্টা করা হয় সাউথ ইস্ট ব্যাংকে। একই দিনে ব্যাংকটির মতিঝিল শাখা থেকেও একই পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে চক্রটি। তবে সন্দেহ হলে বিষয়টি যমুনা কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন ব্যাংক ম্যানেজার। ভেস্তে যায় জাকিরের চক্রান্ত, মামলা হয় রামপুরা থানায়।

রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিপিএম জানালেন, মাজহারুল ইসলাম মাসুমসহ কয়েকজন আসামি হলেও আড়ালেই ছিলেন মূল হোতা জাকির। সম্প্রতি আবারও একই ধরনের জালিয়াতি করতে যেয়ে ধরা পড়ে পরিকল্পনাকারীসহ কয়েক সদস্য। পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাদ করলে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, যমুনা গ্রুপের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর ভাগ বাটোয়ারারও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিল চক্রটি। মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জাকিরের পাওয়ার কথা ছিল ৪২ লাখ, আর বাকিটা অন্যান্যদের।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান মাসুম বলেন, জালিয়াত চক্রের সদস্যরা গ্রেফতার হওয়ায় টাকা হাতিয়ে নেয়ার সব রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী আইনজীবী।

জালিয়াতি ঠেকাতে অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের পাশাপাশি ব্যাংক কর্তৃপক্ষেরও নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ পুলিশের।

/এডব্লিউ

Exit mobile version