সড়ক বিভাগের জুড়ে দেয়া শর্তে থমকে আছে শরীয়তপুর-নাওডোবা পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ও শরীয়তপুর-ইব্রাহীমপুর সড়ক উন্নয়ন কাজ। প্রকল্প দুটির মেয়াদ বাড়িয়েও শুরু করা যায়নি অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের চেক বিতরণের কাজ। দুই দফতরের মধ্যে চিঠি চালাচালি হলেও সুরাহা না হওয়ায় বাড়ছে ভোগান্তি।
জাজিরার বাদল জমাদ্দার। পেয়েছেন অধিগ্রহণকৃত জমির ৮ ধারার নোটিশ। ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে এসেছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখায়। কিন্তু প্রস্তুত করা চেকটি হাতে না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি। একই দশা প্রকল্প দুটির অধিগ্রহণকৃত জমির সব মালিকেরই। তাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে সড়ক বিভাগের জুড়ে দেয়া ১০ শতাংশের শর্ত। শর্তটি চূড়ান্ত হলে মোটা অংকের অর্থ থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় জমির মালিকরা। তারা জানান, ১০ শতাংশ টাকা কেটে রাখতে চায় কর্তৃপক্ষ। আর এটি দিতে চান না তারা।
মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ীই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাবে বলে জানান শরীয়তপুর জেলা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান।
তবে শর্তের বিষয়টি নিয়ে বিব্রত জেলা প্রশাসন। যদিও আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসমাউল হুসনা লিজা।
চলতি বছরের জুনে উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতুর সুবিধা পেতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক দুটির ফোর লেনের কাজ শুরুর দাবি শরীয়তপুরবাসীর।
/এডব্লিউ
Leave a reply