যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের সংক্রমণের প্রথম দিন থেকে এক বছরের মধ্যে হৃদরোগ সংক্রান্ত জটিলতা হওয়ার ঝুঁকি বেশি। একটি গবেষণা রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে। গবেষকরা দেখিয়েছেন যে করোনা এমন লোকদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে যারা এতে সংক্রমিত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হলে তাই হৃদরোগের ঝুঁকি রয়ে যাচ্ছে। খবর ফোর্বসের।
এমনকি যাদের কোনোদিন কোনো হৃদরোগের সমস্যা ছিল না, করোনার পর তাদেরও এই সমস্যা হচ্ছে। নেচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে যে হৃদরোগ, যার মধ্যে হার্ট ফেইলিউর এবং মৃত্যুসহ নানা উপসর্গ থাকছে। করোনায় আক্রান্ত হয়নি এমন লোকের তুলনায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এমন লোকের মধ্যে বেশি হচ্ছে। পরিসংখ্যানের হিসেবে প্রায় ৯০ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমনিতেই কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রকোপ বেশি। এরপর করোনা সেই রোগটিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই মত গবেষকদের৷
হৃদরোগের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হচ্ছে? মূলত করোনারি ধমনী ব্লকেজ সমস্যা বেশি হচ্ছে। তাই ৭২ শতাংশ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকছে। কার্ডিয়াক স্ট্রোক হয়েছে ৫২ শতাংশের। সাধারণত যেটা হয়, কোমর্বিডিটি যাদের থাকে তাদের সেই রোগ আরও বাড়িয়ে দেয় করোনা। কিন্তু এবার দেখা গিয়েছে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হৃদযন্ত্র।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিয়াদ আল-আলি বলেন, করোনা গুরুতর কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা নিয়ে আসছে। যা চিকিৎসা দিয়েও নিরাময় করা যাচ্ছে না। তা অনতিপরেই মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে রোগীকে। করোনা হার্টের এতটাই ক্ষতি করছে যে তা স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না কোনোভাবেই। এমন এক রোগ যা মানুষকে আজীবন প্রভাবিত করে চলেছে।
চিকিৎসকদের কথায় তাই, করোনা পরবর্তীতে হার্টের যত্ন নেয়া তাই অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। গবেষকরা বিশাল একটি ডাটাবেস তৈরি করেছেন। প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজারের ও বেশি লোকের ওপর এই পরীক্ষা হয়েছে। হার্টকে রক্ষা করতে চিকিৎসকরা করোনা টিকা নেয়ার দিকেই জোর দিচ্ছেন। পাশাপাশি কীভাবে যত্ন নেয়া যেতে পারে হার্টের সেই বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন।
Leave a reply