ফ্লেচারের ইনিংসে দানা বাঁধছে স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহ

|

ম্যাচ জেতাতে না পেরে হতাশ আন্দ্রে ফ্লেচার। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা টাইগার্সের ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ৫৮ বলে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস খেলেও দলকে কোয়ালিফায়ারে নিতে পারেননি। হাফ সেঞ্চুরির এই ইনিংসে তার স্ট্রাইকরেট ছিল মাত্র ১২৫; শেষ ১২ ওভারে তিনি হাঁকান মাত্র ৩টি বাউন্ডারি। দলের প্রয়োজনের সময় আগ্রাসী ছিল না এই ক্যারিবিয়ানের ব্যাট। সব মিলে ম্যাচের গতিপথ ও তার ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে দানা বাঁধছে স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহ।

ক্রিকেট ম্যাচে স্পট ফিক্সিং এখন আর অমূলক নয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার ক্রিকেট ম্যাচ ফিক্সার ডকুমেন্ট্রির স্টিং অপারেশনে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ঘরোয়া ক্রিকেটে তা সম্ভব। ফ্র‍্যাঞ্চাইজি লিগগুলো ঘিরে দেখা মেলে নানা প্রশ্ন আর সন্দেহ। তেমনই বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচ ঘিরে উঁকি দিচ্ছে কিছু প্রশ্ন। ৪১০ রান নিয়ে চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক খুলনার ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার বলেছিলেন, আমি ছেলেদের বলেছিলাম, ফাইনাল খেলা ছাড়া এখান থেকে যাবো না। আমাদের লক্ষ্য এখনও পূরণ হয়নি। এখনও উদযাপনের সময় আসেনি। আমাদের ফাইনাল খেলতে হবে। ভালো খেলার সুযোগ আছে।

অথচ এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের কাছে ৭ রানের হারে আসর থেকে বিদায় নিতে হয় খুলনা টাইগার্সকে। প্লে অফ নিশ্চিতে কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচে রেকর্ড জুটি গড়ার পাশাপাশি আন্দ্রে ফ্লেচার অপরাজিত ছিলেন ১০১ রানে। শক্তি সামর্থ্য়ের দিক দিয়ে ৩৪ বছর বয়সী এই ক্যারিবীয়কে নিয়ে নেই কোনো প্রশ্ন। বলেছিলেন, ফাইনাল না খেলে বাংলাদেশ ছাড়বেন না। তবে এলিমিনিটরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে মেলানো যায়নি অনেক হিসেব। ১৯০ রানের লক্ষ্যে ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ছিলেন ফ্লেচার। ইনিংসের ৪র্থ বলেই নাসুমকে ছক্কা হাঁকান তিনি। পাওয়ার প্লেতে ২৫ বল থেকে তোলেন ৪০ রান। এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। পরের ১০ রান করতে তিনি খেলেন ৯ বল। সে সময় অবশ্য উইকেটে সাবলীল ছিলেন মুশফিক।

অষ্টম ওভারে বাউন্ডারি মারার পরের ৩৮ বলে ফ্লেচারের ব্যাট থেকে আসেনি চার কিংবা ছয়। তবে ১৫, ১৭ আর সব শেষ ওভারে একটি করে বাউন্ডারি মারেন তিনি, যা প্রয়োজনের নিরিখে যথেষ্ট ছিল না। যদিও এ সময়ে ইয়াসির রাব্বি ছিলেন দুর্দান্ত।

৩৪ বলে চার ছক্কার ফুলঝুরিতে ফ্লেচার করেন ফিফটি। ১৪৭ এর উপর ছিল তার স্ট্রাইক রেট। পরের ৩০ রান আসে ২৪ বলে। স্ট্রাইক রেট অনেকটা নেমে আসে ১৩৭ এ। পাওয়ার প্লের পর ২১টি সিঙ্গেল আর ৬টি ডট বল খেলেন ফ্লেচার। অর্থাৎ, ফিফটির পর ধীরগতির ব্যাটিং ছিল ফ্লেচারের। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৮০ রান। শেষ ৩ ওভারে যখন জয়ের জন্য যখন দরকার ছিল ৪২ রান, তখন ফ্লেচারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১টি বাউন্ডারি। এসব কারণেই, ৮০ রানের ইনিংস খেলেও যেন আতশ কাঁচের নিচেই আছেন আন্দ্রে ফ্লেচার।

আরও পড়ুন: ‘রোনালদো স্বার্থপর, গোল করতে না পারলে দলের জয়েও খুশি হয় না’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply