ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিএনপির এমপির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মামলার আবেদন

|

এমপি আমিনুল ইসলাম। ফাইল ছবি।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনতাইসহ পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে বিএনপির সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাচোল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম মজিদুল হক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদসহ চারজন মাইক্রোবাসে নাচোল ফিরছিলেন। এ সময় বিএনপি নেতা ইবনে কাজেম বাদী তন্ময় আহমেদের মোবাইলে ফোন করে তাদের অবস্থান জানতে চান। কিছুক্ষণ পর কাজেম মোটরসাইকেলে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মাইক্রোবাসের পেছনে
ধাওয়া করে। ভোলাহাটের বারইপাড়া ভাঙ্গা কালভার্টের কাছে মাইক্রোবাসটি পৌঁছলে কাজেম গাড়িটির গতি রোধ করে ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে বের করে তাদের বেধড়ক মারধরও করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে আকুতি জানাতে থাকলে তাদের নিকট পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ভোলাহাট থানায় এমপি আমিনুল ইসলামকে হুকুমের আসামিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে
এজাহার দায়ের করা হয়।

মামলার বাদী তন্ময় আহমেদ মুঠোফোনে জানান, ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশনে কাজ শেষ করে আমরা নাচোল ফিরছিলাম। এ সময় এমপি আমিনুল ইসলামের সন্ত্রাসীবাহিনী ইবনে কাজেমের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমার ৮ বছরের শিশু সন্তানসহ আমাদের বেধড়ক মারধর করে তারা। প্রাণ বাঁচাতে আমি তাদের পায়ে ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাই। এমন সময় এমপি আমিনুল ইমলাম কাজেমের ফোনে আমাকে ভুল স্বীকার করতে বলে এবং বলে তুইসহ তোর লোকজন যদি কোনোদিন ভোলাহাটে আর না আসিস তাহলে তোদের ছেড়ে দিব।

প্রাণ বাঁচাতে আমি এমপির নিকট প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করি এবং ভোলাহাট না আসার মৌখিক মুচলেকা দিলে তারা আমাদের ছেড়ে দেয়। তিনি জানান, আগে আমি এমপির হয়ে নির্বাচনে কাজ করেছি কিন্তু এখন তার কাছে যাই না। মামলা দায়েরের বিষয়ে তিনি জানান, ঘটনার পর আমরা ভোলাহাট থানায় গিয়ে রাতেই এজাহার দাখিল করি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এখনও মামলা গ্রহণ করা হয়নি। এখন আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।

ভোলাহাট থানার ওসি মাহবুব ইমরান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমপিকে আসামির বিষয়ে তিনি জানান, আমি এখন থানার
বাহিরে আছি, থানায় পৌঁছে এজাহার দেখে আপনাকে জানাবো।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, মজিদুল চেয়ারম্যান আমার তালই। এটা একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আমরা সবাই বিএনপির কর্মী। চেষ্টা করছি বিষয়টিকে সহজভাবে মিটিয়ে ফেলার জন্য। তবে এ ঘটনায় আমি জড়িত না।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply