বব মার্লেকে নিয়ে আসছেন বেন-আদির

|

বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর বব মার্লে। মানুষের অধিকারের জন্য তার লেখা, সুর আর কণ্ঠ ছিল সদা জাগ্রত। জ্যামাইকান কিংবদন্তি শিল্পী ১৯৮১ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এতো অল্প বয়সে বিশ্বজুড়ে অগণিত ভক্ত খুব কম শিল্পীর জীবনেই ঘটেছে। এবার তার ভক্তদের জন্য খুশির খবর নিয়ে এসেছেন পরিচালক রেইনাল্ডো মার্কস গ্রিন।

এবার প্যারামাউন্ট পিকচার্সের ব্যানারে বব মার্লের বায়োপিক নির্মাণ করতে যাচ্ছেন পরিচালক রেইনাল্ডো মার্কস গ্রিন। তার চরিত্রে অভিনয় করবেন হলিউডের ‘ওয়ান নাইট ইন মিয়ামি’ তারকা কিংসলে বেন-আদির।

৭০ এর দশকে বব মার্লে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন তার নান্দনিক সুরের মূর্ছনায়। একাধারে তিনি ছিলেন গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক। তিনি গেয়েছেন এবং তৈরি করেছেন রেগি, স্কা, রক স্টেডিসহ নানা ধরনের মৌলিক এবং মিশ্র সঙ্গীত। মার্লের গানে এমন কিছু ছিল, যা দর্শকদের দুঃখ-কষ্ট ভুলিয়ে দিয়ে সুরের তালে নেচে উঠতে বাধ্য করতো।

মার্লের জন্ম ১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জ্যামাইকার সেন্ট অ্যানের এক বস্তিতে। জন্মের পর থেকেই তিনি দেখেছেন তার দেশের অশান্ত পরিবেশ, শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ সংঘাতের ভয়াবহতা। এসব দেখে ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে প্রতিবাদী সত্ত্বার জন্ম হয়। সে সত্ত্বার প্রতিফলন নিয়েই তার গান গাওয়া শুরু।

১৯৮০ সালে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে মার্লে গঠন করেছিলেন ‘ওয়েলার্স’ ব্যান্ড৷ কখনও এই ব্যান্ডের হয়ে, কখনও আবার এককভাবেও গান করেছেন তিনি৷ তার ‘বব মার্লে এন্ড দ্য ওয়েলার্স’ অ্যালবামটিকে ১৯৯৯ সালে বিশ শতকের সেরা অ্যালবামের খেতাব দিয়েছিল টাইম ম্যাগাজিন। এছাড়া ১৯৯৪ সালে রক এন্ড হল অব ফেম: রোলিং স্টোন-এ সর্বকালের সেরা ১০০ শিল্পীর তালিকায় ১১তম স্থান লাভ করেন বব। জ্যামাইকান রেগে শিল্পী, গিটারিস্ট ও গীতিকার মার্লে গেয়েছেন ‘বাফেলো সোলজার’, ‘নো ওম্যান নো ক্রাই’, ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’ ও ‘ব্ল্যাক প্রোগ্রেস’-এর মতো বিখ্যাত সব গান।

এসবই এবার তুলে ধরা হবে সিনেমার পর্দায়। এখন দেখার অপেক্ষা কিংসলে বেন-আদির কতটা সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন মার্লের জীবনী। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সিনেমা মুক্তি পর্যন্ত।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply