প্রাক্তন স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রী, বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন ভাই

|

তালাক দিয়ে সন্তান নিয়ে চলে গেছেন স্ত্রী। কাজ নিয়েছেন ঢাকায়। তাকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে সাবেক স্বামী হয়ে উঠেছেন হিংস্র। এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে খুন করার চেষ্টা করেছেন প্রাক্তন স্ত্রীকে, আটকাতে গিয়ে প্রাণ গেছে ভাইয়ের। এখানেই শেষ নয়, শ্বশুরবাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে নিজেও চেষ্টা করেছেন বিষপানে আত্মহত্যার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি রংপুরের পীরগাছায়।

পীরগাছার কৈকুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব মকররমপুর গ্রামের আশি বছর বয়সী সুফিয়া বেগমের আহাজারি যেন শেষ হওয়ার নয়। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া সাতটায় বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হন মেয়ে সেলিনা আখতার সুমি। তাকে মোটরসাইকেলে করে স্টেশনে পৌঁছে দিতে যাচ্ছি ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন। বাসা থেকে ৫০০ গজ দূরেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলে পড়ে সুমির সাবেক স্বামী মিজানুর রহমান সুফিয়ান। এলোপাতাড়ি কোপায় সুমিকে। বাধা দিলে প্রকাশ্যে খুন করে রোকনকে।

এখানেই শেষ নয়, শ্যালক ও স্ত্রীকে কোপানোর পর বীরদর্পে বাইক চালিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান সুফিয়ান। সেখানে বৃদ্ধা সাবেক শাশুড়িকে লেপ দিয়ে মুড়িয়ে রেখে ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় সে। দাউ দাউ করে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যায় বৃদ্ধা সুফিয়ার ৫০ বছরের সংসারের সব কিছুই। এরপর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় সুফিয়ান নিজেও।

প্রসঙ্গত, বছর আটেক আগে প্রেম করে বিয়ে হয় সুফিয়ান-সুমির। তাদের ঘরে আছে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান। বনিবনা না হওয়ায় বছরখানেক আগে সুমি তালাক দেয় সুফিয়ানকে। আদালতের আদেশে কন্যার লালন পালনের ভার পায় সুমি। মায়ের কাছে সন্তানকে রেখে ঢাকায় একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন সুমি। তিনদিন আগে আসেন মেয়েকে দেখতে। আর সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটে এমন নৃশংস ঘটনা।

নৃশংস এই ঘটনায় হতবাক আইনশৃঙখলা বাহিনীও। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তারা। পীরগাছা থানার ওসি সরেষ চন্দ্র জানান, সুফিয়ানকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা। ওই একই হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন সুমি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply