নির্যাতনের শিকার হয়ে পুলিশের সাহায্য চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ বিধবার

|

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বার বার নির্যাতনের শিকার হয়ে পুলিশের সাহায্য চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন এক বিধবা নারী। জানিয়েছেন, দফায় দফায় জিডি করেছেন থানায় কিন্তু সাড়া মেলেনি। উল্টো র্নিযাতনকারীদের সাথে আঁতাতের অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। উপায় না পেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে।

ঘটনার শুরু পারিবারিক বিরোধের জেরে। জানা গেছে, ৮ বছর আগে ১ বছর বয়সী ছেলেকে রেখে মারা যান যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা আলম মিয়া। ভূক্তভোগী মোসলেমার অভিযোগ স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তার সন্তানের অধিকার ও সম্পদ কেড়ে নিতে মরিয়া কাছের স্বজনরা।

ভূক্তভোগী মোছলেমা খাতুন বলেন, তারা আমার টাকা আত্মসাৎ করছে। তারা প্রতিমাসে অন্তত ২০ হাজার টাকা কম দেয়। তারা বলে, যদি ঘর হিসেব করতে যাও তাহলে যে কাপড় পরে যাবা তার কোনো চিহ্ন থাকবে না। তিনি আরও বলেন, এক স্যার আছেন তার নাম ভুলে গেছি, উনি বলেছেন, আপনার কাপড় তো আর খোলে নাই, খুলছে কাপড়? মোসলেমা অভিযোগ করে বলেন, তারা যদি এসব বলে লজ্জা দেয় তাহলে আমি কার কাছে যাবো?

ভূক্তভোগীর সন্তান তাজ মিয়া (৮) বলেন, রাত হলে ঘরের দরজায় বাড়ি মারে, জানালায় টোকা মারে। আমার খুব ভয় লাগে।

এদিকে বিধবার অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি অভিযুক্তরা।

নিজের নিরাপত্তা ও সাহায্য চেয়ে জিডি করেন যাত্রবাড়ি থানায়। কিন্তু, উল্টো জিডি তুলে নেয়ার জন্য চাপ দেয়ার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী মোসলেমা। বলেন, উনি আমাকে চা খাওয়ার জন্য ডেকেছিলেন। আমি গেলে তিনি বললেন আরেকটা কাগজ করতে হবে। কাগজ করে আমার মৃত বাবা-মা, স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করলেন। আমার স্বামী মৃত জেনেও উনি আমার জিডিটা না নিয়ে উল্টো হুমকি দিয়ে যান।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তখনকার দায়িত্বপ্রাপ্ত থানা কর্মকর্তা এস আই জাকির। তিনি বলেন, কেস-মামলা তো বিষয় না, বিষয় হলো মীমাংসা। যেহেতু স্বামী নেই আর তার একটা ছেলে আছে, এখন মীমাংসা না করলে তো সে সম্পত্তিগুলো পাবে না। তার ছেলেকে মানুষ করা দরকার, এজন্য তার সম্পত্তি দরকার। এজনই মীমাংসাও দরকার, তো মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি।

সব শেষ সমাধানের জন্য ডিএমপি ওয়ারী জোনের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদকে ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা তো চেষ্টা করিই, সবসময়ই চেষ্টা করি।

সব শেষ সাহায্যের আশায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আবেদন করেছেন বিধবা মোসলেমা খাতুন।


/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply