লিটন-মুশফিকের ব্যাটে আফগানদের টার্গেট ৩০৭ রান

|

ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরির পর লিটন দাস। ছবি: সংগৃহীত

লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এবং মুশফিকুর রহিমের শতক মিস হওয়া দারুণ ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের সামনে ৩০৭ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে টাইগারদের টপ অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর আশাবাদকে সত্যি করে জ্বলে ওঠেছেন লিটন ও মুশফিক। এই দুই ব্যাটারের আগ্রাসী ব্যাটিং ইনিংসের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হলে হয়তো ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৬ রানের চেয়ে বড় সংগ্রহ গড়তে পারতো বাংলাদেশ।

বিপিএলে খুব একটা আলো কাড়তে না পারলেও লিটন দাসের ব্যাট যে বর্তমানে দেশ সেরা, তা আবারও প্রমাণ করলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ক্রিকেট ব্যাটকে খাপখোলা তরবারি বানিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার। শতক হাঁকানোর পর আগ্রাসনের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে আফগান বোলারদের মাঠের চারদিক চিনিয়ে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির পসরা সাজান তিনি, চট্টগ্রামের মাঠে কায়েম করেন কোমল আগ্রাসন। ১২৬ বলে ১৩৬ রানের অসাধারণ এই ইনিংসের পথে লিটন মেরেছেন ১৬টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি।

মুশফিকুর রহিমের ব্যাটও ছিল চওড়া। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, মুশফিকও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন লিটনকে। মূলত এই দুই ব্যাটারের ২০২ রানের জুটিতেই বড় সংগ্রহ গড়ার কাজটা নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। তবে লিটন আউট হওয়ার পরপরই মুশফিকুর রহিমও ফেরেন সাজঘরে। ৯টি চারের সাহায্যে ৯৩ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে শতক হাতছাড়া করেন মুশফিক। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ রান তোলার গতিকে একইরকম রাখতে পারেননি। তবুও ইনিংস শেষে বড় সংগ্রহই দাঁড় করায় টাইগাররা।

এর আগে, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল। প্রথম থেকেই তামিম ও লিটনের ব্যাট চলছিল সাবলীল ঢঙে। তবে অফ স্ট্যাম্পের ঠিক বাইরে পিচ করা ফজলহক ফারুকির ভেতরে ঢুকে যাওয়া বলে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হন ২৪ বলে ১২ রান করা তামিম। এরপর ক্রিজে এসে লিটন দাসের দাসের সাথে ৫৪ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে সাকিব করেন ৩৬ বলে ২০ রান।

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply