স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:
বর এলেন হেলিকপ্টারে, ধুমধামে চলছিল বিয়ের আয়োজন। এলাকাবাসী বর দেখার মতোই দেখছিল হেলিকপ্টারও। কিন্তু বাধ সাধলো প্রশাসন, বিয়ে না করে মুচলেকা দিয়ে ফিরে গেলেন বর! ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার পূর্বধলা জেএম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন এক বাড়িতে।
মহা ধুমধামে চলছিল বিয়ের প্রস্ততি। প্রস্তুত ছিল বিশাল তোরণ, প্যান্ডেল সাজিয়ে বর পক্ষকে বরণ করতে প্রস্তুত কনে পক্ষ। বর আসছে হেলিকপ্টারে এমন খবরে এলাকার উৎসুক জনতা বিয়ের বাড়ির আশেপাশে ভিড় করেছিল। অবশেষে বর হেলিকপ্টারে আসলেও, কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিয়ে আর হলো না।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বিকেল তিনটার দিকে বিয়েটি বন্ধ করে দেন।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্চারামপুর গ্রামের মো. শাহজালাল মিয়ার(৩০) সাথে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের সানিয়া আক্তারের বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ হয় শুক্রবার।
কিন্তু কনে নবম শ্রেণীর ছাত্রী, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে উপস্থিত হন প্রশাসনের লোকজন।বর-কনের কাগজ পত্র যাচাই করে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন তারা।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বাল্যবিবাহ চলছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে উপস্থিত হয়ে কনের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট যাচাইবাছাইয়ের পর সেটি ভুয়া প্রমাণিত হলে দুপক্ষের মুচলেকা নিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান বলেন, কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় বিয়েটি বন্ধ করে দুই পক্ষের মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply