জলবায়ু, জলাশয় ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবদান রাখায়, সেরা নারী বিজ্ঞানীর পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী। উন্নয়নশীল দেশের জলবায়ুবিষয়ক গবেষণার জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা জানান, গবেষণার মাধ্যমে শুধু পানিসম্পদ রক্ষাই নয়, স্থানীয়দের বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরিতেও কাজ করতে চান তিনি। সেই সাথে, জলাশয় রক্ষা করতে চাইলে এ খাতে গবেষণা বাড়ানো জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী গবেষণা করছেন পানিতে প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা ও ঝুঁকি নিয়েও। তিনি জানান, কত ভয়ানক হুমকি আছে নদীমাত্রিক বাংলাদেশর জলাশয় এবং মৎস্য সম্পদে। তিনি বলেন, গঙ্গা থেকে প্রতিদিন বঙ্গোপসাগরে ১.৩ বিলিয়ন প্লাস্টিক এসে মিশে। সেখান থেকে মিশে যায় দেশের নদী-খালে। আমাদের দেশের মাছে প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। তবে, কতটা ক্ষতি হতে পারে তা ২ আড়াই বছর পর জানাতে পারবো
তার মতে, শুধু গবেষণায় প্রকৃতি রক্ষা করা যাবে না। গবেষণালব্ধ উপাত্ত ও জ্ঞানের আলোকে নিতে হবে নতুন উদ্যোগ। এবং এই কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে স্থানীয়দের। তিনি জানান, যে জাল ফেলে দেয়া হয় সেটা দিয়েই আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। জেলেদের এটা শৈশব থেকেই জানাতে হবে।
গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এই বিজ্ঞানী। সেই সাথে নারীদের এগিয়ে আসার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। অধ্যাপক গাউসিয়া বলেন, আমাদের গবেষণা বাড়ানো দরকার। নারীরা মা, ওরা যখন আসবে তখন প্রকৃতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পুরস্কারপ্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত না হয়ে আরও দায়িত্ববান হতে চান গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নিসা চৌধুরী। এই দায়বদ্ধতা তিনি প্রকৃতি তথা দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি বোধ করেন।
Leave a reply