দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিককে বাদ দিতে বলেছিলেন এক বোর্ড পরিচালক

|

একের পর এক সিনিয়র ক্রিকেটারের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে থাকে অনেক গুঞ্জন। এই যেমন মুশফিকুর রহিম। ছোট কাঁধে দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন গেল এক যুগে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তার আউট নিয়ে নাকি ঝড় ওঠে প্রেসিডেন্ট বক্সে।

আফগানিস্তানের দেয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যে এক পর্যায়ে ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। আফগানদের সাথে হারটা ধরেই নিয়েছিলেন বিসিবির বোর্ড কর্তারা। কড়া সমালোচনা চলে প্রেসিডেন্ট বক্সে। এক পর্যায়ে প্রভাবশালী এক পরিচালক পরামর্শ দেন পরের ম্যাচে মুশফিককে বাদ দেয়া হোক। খেলানো হোক মাহমুদুল হাসান জয়কে।

কিন্তু এসব ধোপে টেকেনি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আপত্তিতে টিকে যান মুশফিক। বিসিবি সভাপতি ভোলেননি মুশফিকের গত ৭ বছরের ওয়ানডে রেকর্ড। এই সময়ে ৫০’র কাছাকাছি যার গড়, তাকে ঝেড়ে ফেলা কি এতই সহজ? পরের ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন মুশফিক। খেলেছেন ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস।

যদি দ্বিতীয় ম্যাচেও রান না করতেন, কী হতো মুশফিকের ভাগ্যে? এই যে সিনিয়রদের ছেঁটে ফেলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বক্সের আলোচনা, তা কিসের ইঙ্গিত? তবে কি নতুন মেরুকরণ হচ্ছে টাইগার ক্রিকেটে?

এর আগে বিসিবির প্রেসিডেন্ট বক্স নিয়ে বাংলাদেশের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট বক্সে আসলে একজন ক্রিকেটারকে উলঙ্গ করা হয়। পুরো উলঙ্গ করা হয়। এটা উনারাও জানেন। উনারা অস্বীকার করতে পারবেন না।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply